সোমবার রবার্ট মুগাবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি টিকাগুলো পৌঁছায়

প্রথম চালানে দুই লাখ ডোজ করোনাভাইরাস টিকা পৌঁছেছে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে। এসব টিকা দেশটির মানুষের জন্য উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে চীন। সোমবার এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।  

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে রাজধানী হারারেতে অবস্থিত রবার্ট মুগাবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি  টিকাগুলো পৌঁছায়। সেখানে উপস্থিত থেকে তা গ্রহণ করেন জিম্বাবুয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কনস্ট্যানটিনো চিওয়েঙ্গা। 

চীনের অনুদানকে ‘বন্ধুত্ব ও সংহতির দীর্ঘদিনের বন্ধনের আরও একটি প্রদর্শন’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনের সময় আমরা সর্বদাই চীনের কাছ থেকে এ ধরনের সহযোগিতা পাই। এবারও তাই হলো।’ 

আফ্রিকায় যেসব দেশে চীন এ পর্যন্ত নিজেদের তৈরি করোনার টিকা পাঠিয়েছে এরমধ্যে জিম্বাবুয়ে অন্যতম। এর আগে আফ্রিকার দুই দেশ মিসর ও গিনিতে টিকা পাঠিয়েছে বেইজিং। তাদেরকেও উপহার হিসেবে কিছু টিকা দেওয়া হয়েছে। 

উপহারের দুই লাখ ছাড়াও চীনা সিনোফার্মের অতিরিক্ত ছয় লাখ ডোজ টিকা কিনেছে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগোয়ার সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামী মাসের শুরুতে সেগুলো জিম্বাবুয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। 

চীনা রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে টিকা গ্রহণ করে ফিরছেন জিম্বাবুয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কনস্ট্যানটিনো চিওয়েঙ্গা

প্রথম চালানে যেসব টিকা জিম্বাবুয়ে পেল আগামী সপ্তাহ থেকে তা মানুষকে দেওয়া শুরুর আগে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ রুটিন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তা নিরাপদ কিনা দেখবে।

আফ্রিকার এই দেশটির সরকারের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে যে পরিকল্পনা তা অনুযায়ী সবার আগে টিকা পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী ও সীমান্ত চৌকিতে কাজ করেন অভিবাসী এজেন্টরা।    

জিম্বাবুয়েতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত গুয়ো শাওচুম বলেছেন, আফ্রিকার ৫৮টি দেশের মধ্যে প্রথম যারা টিকা পেল তার মধ্যে অন্যতম জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে আমাদের ভাইয়ের মতো। তাই জিম্বাবুয়েতে টিকা সরবরাহ করাটা কোনো সমস্য নয়।’  

এএস