চীনের করোনা টিকার অনুমোদন দিল নেপাল
জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর এবার চীনের সিনোফার্মের করোনা টিকা অনুমোদন দিয়েছে নেপাল। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি ওষুধ প্রশাসন বিভাগ এই অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সন্তোষ কে.সি।
আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে সন্তোষ কে. সি. বলেন, ‘নেপালে জরুরি ব্যবহারের জন্য শর্তসাপেক্ষে চীনের এই টিকাটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
চীন নেপালের জন্য উপহার হিসেবে সিনোফার্মের করোনা টিকার ৫ লাখ ডোজ বরাদ্দ করেছিল গত জানুয়ারিতে; কিন্তু তখনও নেপালের সরকারের এই টিকার অনুমোদন না দেওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে পারেনি ডোজগুলো। এই অনুমোদনের ফলে ‘হিমালয় কন্যা’ বলে পরিচিত দেশটিতে সিনোফার্মের টিকার প্রবেশ সুগম হলো।
তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন থাকায় গতমাসেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ টিকার ডোজ পৌঁছে গিয়েছিল নেপালে।
বিজ্ঞাপন
জানুয়ারিতে যে কয়েকটি দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজ উপহার পাঠিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, সেগুলোর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল নেপালও।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে নেপালের সরকার। তিন কোটি জনসংখ্যার এই দেশটির ৭২ শতাংশ মানুষকে এই কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নেপালের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।
গণটিকাদান কর্মসূচিতে টিকার সরবরাহে যেন টান না পড়ে, সেজন্য সরকারি উদ্যোগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে শিগগির আরো ২০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনা হবে বলেও জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হৃদয়েশ ত্রিপাঠী।
বাংলাদেশ যে দরে কিনেছে সেই একই মূল্যে, অর্থাৎ প্রতি ডোজ ৪ ডলার করে এই টিকার ডোজগুলো কেনা হবে উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে ত্রিপাঠী বলেন, ‘আমরা একটা ভালো দাম পেয়েছি, অবশ্যই টিকা কেনার এ সুযোগ হারানো উচিত হবে না।’
নেপালে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৭৩ হাজার ৭০ এবং এ রোগে দেশটিতে মারা গেছেন ২ হাজার ৫৫জন।
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ