টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর এ পর্যন্ত ভারতে এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার একদিনে সর্বাধিক ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়। দৈনিক গড়ে টিকা নেওয়ার হার প্রায় তিন লাখ। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।

তবে করোনার নতুন ধরন নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। জুলাইয়ের মধ্যে ভারত ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল তাতে সফল হতে হলে দেশটিকে দৈনিক ২০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দিতে হবে। 

এদিকে কিছু রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টিকা প্রদানে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্রে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়ার কথা এরমধ্যে মাত্র ৫৪ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যেও এ অবস্থা। 

সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ জানিয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরুর ছয়দিন পার হয়ে গেলেও দৈনিক দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা মানুষের হার মাত্র ৪৪ শতাংশ। 

যেমন পাঞ্জাবে সবার আগে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল এর মধ্যে মাত্র ৩৮ শতাংশ এ পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন। যদিও এক মাসেরও বেশি সময় আগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় ভারতে। 

এছাড়া ভারতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ জানিয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরুর ছয়দিন পার হয়ে গেলেও দৈনিক দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা মানুষের হার মাত্র ৪৪ শতাংশ। 

সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ সিনিয়র ফেলো পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। প্রতি তিন জনে মাত্র একজন দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসছেন! এরাও হলেন স্বাস্থ্যকর্মী, সাধারণ মানুষ নন। তাদেরই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষকে তো খুঁজে পাওয়া যাবে না।’    

চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন যে, নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় ভাইরাসটির প্রকোপ বাড়ার শঙ্কার মধ্যে যদি এমন অবস্থা দেখা দেয় তাহলে টিকাদান কর্মসূচি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। ভাইরাসটির লাগাম টানাও কঠিন হয়ে পড়বে।  

এএস