নাগোরনো-কারাবাখ যুদ্ধ সামলানো নিয়ে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে পদত্যাগের দাবি ওঠার পর অভ্যুত্থান চেষ্টা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। খবর আল-জাজিরা অনলাইনের।

আল-জাজিরা লিখেছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের অবনতির মুখে বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান। এরপর দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করার মুখে প্রধানমন্ত্রী এমন শঙ্কার কথা জানালেন।

গত নভেম্বরে বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে ককেশাসের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধে জড়ায়। কিছু ভূখণ্ড হারায় আর্মেনিয়া। এরপর শুধু সেনাবাহিনীর মধ্যে নয় আর্মেনিয়া জুড়ে সরকারবিরোধী অসন্তোষ শুরু হয়। দেশটির মানুষ এখনো বিক্ষোভ করছেন।  

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধ শেষ হলেও নভেম্বরের ওই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার পরাজয়ের পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল দেশটিতে। তবে তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে বিক্ষোভের গতি কমে। এখন শীত কিছুটা কমায় আবারও প্রধানমন্ত্রীর পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারও তীব্র শীত ও তুষারপাত উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় দিয়ে রাজধানী ইয়েরেভানে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার সরকারবিরোধী মানুষ। এ সময় তাদের অনেককে ‘নিকোল, তুমি দেশদ্রোহী’, ‘নিকোল, পদত্যাগ করো’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

চলমান জনঅসন্তোষের মধ্যেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান দেশটির সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ওনিক গাসপারিয়ানকে বরখাস্ত করেন। এরপর সামরিক বাহিনীকে শুধু তার নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। 

ফেসবুকে সম্প্রচারিত জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নিকোল পাশিনিয়ান বলেন, ‘এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ক্ষমতা জনগণের হাতে রাখা। কারণ যা ঘটছে সেসব ঘটনাকে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বলেই বিবেচনা করছি আমি।’ 

সমালোচকরা এই কারণে ক্ষুব্ধ যে, ছয় সপ্তাহের নাগোরনো কারাবাখ যুদ্ধে হাজারো প্রাণহানি হয়েছে। আজারাবাইজানের কাছে নিজেদের ভূখণ্ড হারিয়েছে আর্মেনিয়া। আর এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। তাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।  

এএস