দেশে তৈরি আরও দুটি করোনাভাইরাস টিকা জনসাধারণের ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে চীন। দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ‘ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বৃহস্পতিবার এ অনুমোদনের কথা জানিয়েছে। চীন এ নিয়ে নিজেদের তৈরি মোট চারটি টিকার অনুমোদন দিল। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। 

নতুন করে চীন যে দুটি টিকার অনুমোদন দিল এরমধ্যে একটি তৈরি করেছে চীনের ভ্যাকসিন কোম্পানি ‘ক্যানসিনো বায়োলোজিকস’। অপরটি তৈরি করেছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ‘চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ’ (সিনোফার্ম) এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলোজিকাল প্রোডাক্টস।   

চীন ২০২০ সালে প্রথম করোনা টিকার অনুমোদন দেয়। প্রথম অনুমোদন পায় সিনোফার্মের বেইজিং ইউনিটের তৈরি টিকা। চলতি মাসের শুরুতে দ্বিতীয় টিকা হিসেবে সিনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি টিকা অনুমোদন পায়।

সিনোফার্মের উহান ইউনিট জানিয়েছে, তাদের তৈরি টিকা করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ৭২.৫১ শতাংশ কার্যকর।

চীন এ পর্যন্ত চারটি করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিলেও দেশের বাইরের অর্থাৎ পশ্চিমা কোনো দেশের তৈরি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি। অপরদিকে চীনের তৈরি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বেশ কিছু দেশ।  

সিনোফার্মের উহান ইউনিট বুধবার জানায়, তাদের তৈরি টিকা করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ৭২.৫১ শতাংশ কার্যকর। শেষ ধাপের ট্রায়ালের প্রাথমিক বিশ্লেষণ শেষে এ তথ্য দিলেও বিস্তারিত তথ্য জানায়নি কোম্পানিটি। 

রয়টার্স বলছে, চীন যে চারটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে সবগুলো সাধারণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলো এসব টিকা অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হবে।

সিনোফার্মের তৈরি যে দুটি টিকার এখন দেশের বাইরে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে এর মধ্যে এটি একটি। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে রয়েছেন এমন একদল মানুষকে এই টিকা দেওয়া হয়েছিল।   

চীন যে চারটি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে তার সবগুলো সাধারণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। ফলে অন্যান্য দেশ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো এসব টিকা অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। কারণ এসব দেশের জন্য মার্কিন কোম্পানি মডার্না ও ফাইজারের টিকার সংরক্ষণ করাটা হবে জটিল ও অনেকটা দুঃসাধ্য। 

এএস