ইরানের সামনে শেষ সুযোগ। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরান যেন নতুন করে কোনো কৌশল (স্ট্র্যাটেজি) তৈরি না করে। এমন হুঁশিয়ারি দিলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস। খবর দেশটির সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের।

স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে সই করা দেশগুলো ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছিল। ইরানের প্রতিনিধিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাস এই হুঁশিয়ারি দেন।

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে। তাই ট্রাম্প পরবর্তী সময়ে নতুন করে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প পরবর্তী সময়ে নতুন করে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বাইডেন নির্বাচনী প্রচারেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন যে, তিনি ক্ষমতায় এলে পুরনো ওই পরমাণু চুক্তি নিয়ে আবার আলোচনা শুরু করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ইতিহাসে এই পরমাণু চুক্তি সবচেয়ে হাস্যকর।

বাইডেন ট্রাম্পের সেই স্ট্র্যাটেজি থেকে বেরিয়ে আসতে চান। ফের পরমাণু চুক্তিতে যুক্ত হতে চান। 

এরপর ইরানের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বাইডেন ট্রাম্পের সেই স্ট্র্যাটেজি থেকে বেরিয়ে আসতে চান। ফের পরমাণু চুক্তিতে যুক্ত হতে চান। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বাদে ওই চুক্তির বাকি অংশীদারদের বৈঠকে এটাকেই ইরানের শেষ সুযোগ বলে ব্যাখ্যা করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাস। 

তার বক্তব্য, চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এতদিন ইরানের ওপর চাপসৃষ্টির যে কৌশল নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, এবার তা থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। কিন্তু তার জন্য ইরানকেও বদলাতে হবে নিজেদের অবস্থান। 

পরমাণু চুক্তি নিয়ে বাইডেন কী করেন তার দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব। তার সিদ্ধান্তের ওপর বিশ্ব কূটনীতির অনেক কিছু নির্ভর করছে। 

হাইকো মাসের বক্তব্য সমর্থন করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার বক্তব্য, ইরান যে নীতি নিয়েছে, তা থেকে তাদের সরে আসতে হবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইরানের পার্লামেন্টে পরমাণু আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে স্থির হয়েছে, আগের চেয়ে অনেক বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করা হবে।

ইরানের পার্লামেন্টে সেই প্রস্তাব নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে সাড়া পরে যায়। সোমবারের বৈঠকে ওই কথা উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইরানকেও তাদের সেই অবস্থান থেকে সরতে হবে।

পরমাণু চুক্তি নিয়ে বাইডেন কী করেন তার দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব। তার সিদ্ধান্তের ওপর বিশ্ব কূটনীতির অনেক কিছু নির্ভর করছে। পরিস্থিতি বদলানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলেই অবশ্য মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এএস