বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথ

যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাস বিদ্যমান ভ্যাকসিনকে অকার্যকর করবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ড. সৌম্য স্বামীনাথ। তিনি বলেছেন, করোনার নতুন এ প্রজাতি নিয়ে গবেষণা চলছে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে এটি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা যাবে।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন। 

ড. সৌম্য স্বামীনাথ বলেন, নতুন ধরনের করোনা সম্ভবত অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়াচ্ছে। তবে এখনই এটি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। 

গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে প্রথম নতুন ধরনের করোনা ধরা পড়ে। এরপর সেখানে সংক্রমণের হার বেড়ে যায়। লন্ডনের ৬২ শতাংশ সংক্রমণই নতুন ধরনের করোনায়। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এরইমধ্যে বিশ্বের কয়েকটি দেশে নতুন ধরনের করোনা পাওয়া গেছে। 

গত রোববার জানা যায়, ইতালিতে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে অন্তত ১৭ বার ভাইরাসটি রূপ বদলেছে। একই ঘটনা এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়ও দেখা গেছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য কার্যক্রমের নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান বলেছেন, করোনার রূপ বদলের ফলে টিকা অকার্যকর হবে কি না এ বিষয়ে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

এদিকে নতুন ধরনের করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আন্ত:দেশীয় বহু ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এরইমধ্যে ফ্লাইট বাতিল করেছে ইউরোপসহ ৩০টি দেশ।

/এইচকে