তৃণমূল নেতার হোটেলে ৩৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি
সংগৃহীত ছবি
দীর্ঘ ৩৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশির পর অবশেষে কলকাতা পৌরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য আমিরউদ্দিন ববির হোটেল থেকে বের হয়েছেন আয়কর দপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে হোটেল থেকে কোনো নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৮টা নাগাদ তৃণমূল এ নেতার ১৭৯, এজেসি বোস রোডের ঠিকানায় হানা দেন কর্মকর্তারা। তারপর থেকে শুরু হওয়া ম্যারাথন তল্লাশি শেষ হয় বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ।
বুধবার থেকে পশ্চিবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দপ্তর। এরইমধ্যে রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী তথা শাসকদল তৃণমূলের বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই আমিরউদ্দিনের বাড়িতে বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশি অভিযান চলায় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলেই জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কলকাতার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আমিরউদ্দিন ববির হোটেল থেকে কি পাওয়া গেছে সে বিষয়ে প্রাথমিক কিছু জানা না গেলেও, আয়কর দপ্তর সূত্রের দাবি, রিপন স্ট্রিটের ওই হোটেলের নথিপত্র খতিয়ে দেখে কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, সেখানকার বিদ্যুতের বিল আমিরের নামে রয়েছে।
এদিকে জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকিরের বিড়ি কারখানা, গোডাউন এবং দপ্তর থেকে ১৫ কোটি টাকা মিলেছে। এ নিয়ে জাকিরের বক্তব্য, ‘আমার কারখানায় প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে। কৃষিক্ষেত্রের যে ব্যবসার সঙ্গে আমি জড়িত সেখানে সব লেনদেন নগদে হয়। পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতনও নগদে দিতে হয়। সে কারণেই রাইস মিলে কিছু নগদ টাকা রাখা ছিল। ওই টাকার একটা অংশ যারা আমাকে ধান বিক্রি করেছিলেন তাদের প্রাপ্য।'
বিজ্ঞাপন
সূত্র : আনন্দবাজার
জেডএস