রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তিনি। একাধারে মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের একজন প্রথিতযশা দন্ত চিকিৎসকও। পেশায় একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে ত্রিপুরাবাসীর কাছে সুনাম রয়েছে চিকিৎসক-অধ্যাপক মানিক সাহার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি চিকিৎসকের দায়িত্ব পালনেও পিছিয়ে থাকলেন না। নিজে উদ্যোগ নিয়ে পুরোনো কর্মস্থল হাঁপানিয়ায় অবস্থিত ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে একটি ১০ বছরের শিশুর জটিল অস্ত্রোপচার করালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহার নেতৃত্বে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিম।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা সাধারণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও তিনি। নিজেও একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। তাই স্বাস্থ্যদপ্তরের উন্নয়নের জন্য অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে হাঁপানিয়ায় অবস্থিত ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও পুরোনো কর্মস্থল ভিজিট করেছেন।

এই অবস্থায় ফের একবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পুরোনো কর্মস্থল ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী। উদ্দেশ ১০ বছরের শিশুর জটিল অস্ত্রোপচার। পরে চিকিৎসকদের নির্ধারিত গাউন পরে অস্ত্রোপচারে অংশ নেন তিনি। 

অস্ত্রোপচার শেষে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, বেশ কিছুদিন পর হলেও পেশাগত দায়িত্ব পালনে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। পুরোনো সহকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ আগের মতোই মনে হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে ছেলের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সুকান্ত ঘোষ। তিনি জানান,  'সামনে নির্বাচন থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকেন, শ্বাস ফেলার সময় পর্যন্ত নেই। এই ব্যস্ততার মধ্যেও মূল্যবান সময় বের করে আমার মতো সাধারণের ছেলের অস্ত্রোপচার করেছেন তিনি। এজন্য আমি ও আমার পরিবার ওনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।'

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

জেডএস