সংঘাতকবলিত আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের একটি গ্রামে অজ্ঞাত একদল বন্দুকধারীর হামলায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।  

স্থানীয় সময় বুধবার সকালের দিকে পৃথক নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ইথিওপিয়ায় হওয়া সবশেষ এই সহিংসতার ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির পশ্চিমের বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ অঞ্চলের মেটেকেল জোনের বেকোজি নামক গ্রামে।

প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ সম্প্রতি বেনিশাঙ্গুল-গুমজ অঞ্চল সফর করে এর আগে হওয়া সহিংসতা ও হামলায় দায়ীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাওয়ার পরই এত মানুষ প্রাণহানি হলো

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের বৃহস্পতিবারের এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রত্যক্ষদর্শী ও দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, বুধবার বেকোজি গ্রামের ওই হামলায় কমপক্ষে ১০২ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। 

নভেম্বরে টাইগ্রে অঞ্চলে সামরিক সংঘাত শুরুর আগে থেকেই দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে সংঘাত সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল সরকার। বেশিরভাগ সংঘাতের নেপথ্যে রয়েছে ভূমি ও জ্বালানি শক্তি সম্পদের দখল। 

ইথিওপিয়ার নোবেলজয়ী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ সম্প্রতি বেনিশাঙ্গুল-গুমজ অঞ্চল সফর করে এর আগে হওয়া সহিংসতা ও হামলায় দায়ীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাওয়ার পরই এত মানুষ প্রাণহানি হলো।

ইথিওপিয়ার নোবেলজয়ী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ

অপরদিকে উত্তরের টাইগ্রে অঞ্চলে ক্ষমতার প্রশ্নে আঞ্চলিক সরকার ও প্রধানমন্ত্রী আবির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে নভেম্বরের শেষদিকে যে ভয়াবহ সামরিক সংঘাত শুরু হয়েছে তা চলছেই।

ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সংঘাতের কারণে ব্যাপক সামরিক অস্থিতিশীলতার শঙ্কায় আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল এই দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেছে আবি আহমেদের সরকার। 

নভেম্বরে টাইগ্রে অঞ্চলে সামরিক সংঘাত শুরুর আগে থেকেই দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলে সংঘাত সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল সরকার। বেশিরভাগ সংঘাতের নেপথ্যে রয়েছে ভূমি ও জ্বালানি শক্তি সম্পদের দখল। 

২০১৮ সালে আবি আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটির লাখ লাখ মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

এ ছাড়া পৃথক পৃথক নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা আর আধিপত্যের লড়াইও এসব সহিংসতার আরেক বড় কারণ। আবি আহমেদ সরকার, দেশটির আশির বেশি নৃ-গোষ্ঠীকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। 

জাতিসংঘ বলছে, ২০১৮ সালে আবি আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটির লাখ লাখ মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রতিনিয়ত বাস্তুচ্যুত হওয়ার এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। 

এএস