আসামের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে জয়ী করতে রাজ্যের ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় এই আর্জি জানান কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় ‍পর্যায়ের এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

শুক্রবারের ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘আসামকে ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষার ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা হচ্ছে। দেশের গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকারকে সম্মান দিয়ে এমন সরকার নির্বাচন করুন যারা ভারতের সংবিধানকে মর্যাদা দেয়।’

‘এমন সরকারের জন্য ভোট দিন যারা নাগরিকদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সমস্ত সম্প্রদায়ের কথা ভাবে। এমন সরকারের জন্য ভোট দিন যারা অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়ে আসামকে শান্তি ও উন্নয়নের পথে ফের চালিত করবে।’

১৯৯১ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ বছর আসাম থেকে রাজ্যসভার এমপি হয়েছেন মনমোহন সিং। ভিডিওবার্তায় আসামে দীর্ঘকাল ধরে চলা জাতিগত হিংসা ও অশান্তির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি দেশটির অর্থনৈতিক দূরবস্থার কথাও এসেছে বার্তায়।

মনমোহন বলেন, ‘বর্তমানে আসামে মানুষে মানুষে বিভেদনীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে । মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। রাজ্যে একটা ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির জামানায় বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের অভাব, পেট্রল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। গরিব আরও গরিব হচ্ছে, করোনা মহামারি পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে।’

কংগ্রেস আসামের ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঠিক মর্যাদা রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ বলেও ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেছেন তিনি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাড়ু ও আসাম— ভারতের এই চার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পদুচেরিতে বিধানসভা নির্বচনের তফসিল ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ২৭ মার্চ থেকে এই রাজ্য ও অঞ্চলগুলেতে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ২ মে।

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪, তামিলনাড়ুর ২৩৪, আসামের ১২৬, কেরালার ১৪০ এবং পদুচেরির ৩০ আসনে ভোট হবে। পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট হবে, আসামে হবে ৩ দফায় ভোট। এছাড়া বাকি দুই রাজ্য ও পদুচেরিতে এক দফাতেই ভোটের কাজ শেষ করা হবে। এই অঞ্চলগুলোর মোট ১৮ কোটি ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন।

শনিবার প্রথম দফায় আসামের ৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। বিহার নির্বাচনর পর করোনা আবহে এই প্রথম বড় ধরনের নির্বাচন আয়োজনে গিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এসএমডব্লিউ