দীর্ঘ প্রায় সাত বছরের আলোচনার পর অবশেষে ব্যবসায়িক বিনিয়োগ সংক্রান্ত বহুল প্রতীক্ষিত চুক্তির দ্বারপ্রান্তে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন ও সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। 

চলতি সপ্তাহেই চুক্তিটি চূড়ান্ত হবে জানিয়ে বিবিসি লিখেছে, এই চুক্তির ফলে ইইউভুক্ত দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর চীনের বাজারে প্রবেশাধিকার সুযোগ বৃদ্ধি ছাড়াও প্রতিযোগিতার বর্তমান অবস্থার উন্নতি হবে।  

২০১৪ সাল থেকে ব্যবসায়িক বিনিয়োগ সংক্রান্ত এই চুক্তি নিয়ে ইইউ ও চীনের আলোচনা শুরু হয়। বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় চুক্তির অগ্রগতি থমকে থাকার অবশেষে চুক্তিটি চূড়ান্ত হচ্ছে বলে জানা গেল। 

কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর থেকে শুরু হওয়া মার্কিন-চীন ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ ফলে সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে চীন তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসেছে বলেই সাফল্যের মুখ দেখেছে বহুল প্রতিক্ষিত এই বিনিয়োগ চুক্তি।  

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) কার্যকরের ঠিক এক সপ্তাহ আগে গত ২৪ ডিসেম্বর উভয় পক্ষ ব্রেক্সিট-পরবর্তী একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দেয়। এরপর আসলো ইইউ-চীন চুক্তির খবর। 

বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে চীনের উৎপাদন খাত ছাড়াও অবকাঠামো, বিজ্ঞাপন, আকাশ পরিবহন ও টেলিকম খাতে ইইউ কোম্পানিগুলোর দ্বার উন্মুক্ত হবে। 

চীনের সঙ্গে এই বিনিয়োগ চুক্তি করার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় ছিল জাতীয় নিরাপত্তা। এদিকে এই চুক্তি হলে ইউরোপের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পাবে বেইজিং। 

চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়ার জন্য এতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইপি) অনুমোদন লাগবে। বিবিসি এমন তথ্য জানিয়ে লিখেছে, আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধ্ব ছাড়া ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে চুক্তিটি অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এএস