করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও যারা টিকা নিতে অনিচ্ছার কথা জানিয়েছেন নিবন্ধনের মাধ্যমে এসব মানুষের নাম নথিভূক্ত করা হবে বলে দেশের মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে স্পেন।  

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর স্বাস্থ্য সংস্থা টিকার অনুমোদন দেওয়ার পর রোববার থেকে স্পেনসহ জোটের প্রায় সব দেশে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত মহামারি কোভিড-১৯ রোগের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। 

যারা টিকা নিচ্ছেন না বা টিকা নিতে অনিচ্ছুক তাদের নাম নিবন্ধিত করার কথা জানিয়ে স্পেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এই তথ্য তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সাথেও শেয়ার করবে।

মন্ত্রী সালভাদর ইলা বলেছেন, এই তালিকা সাধারণ জনগণ এবং চাকরিদাতাদের কাছে উন্মুক্ত করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, মহামারি এই ভাইরাসকে পরাজিত করার উপায় হলো ‘আমাদের যত বেশি জনকে টিকা দেয়া হবে ততই ভালো।’

করোনাভাইরাসের প্রকোপে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে স্পেন অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত। চীন থেকে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর বিশ্বের যেসব দেশ ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হয়ে ওঠে তার মধ্যে অন্যতম ছিল স্পেন।

সোমবার লা সেক্সটা টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে মন্ত্রী ইলা জোর দিয়ে বলেন টিকাদান বাধ্যতামূলক না।

তিনি বলেন, ‘যেটা করা হবে সেটা হলো একটা নিবন্ধন করা। আমরা আমাদের ইউরোপিয়ান পার্টনারের সাথে শেয়ার করবো যে এইসব মানুষদের টিকা নেওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারা সেটা গ্রহণ করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য কোন তথ্য-প্রমাণ না। সবটাই করা হবে তথ্য রক্ষার প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা রেখে সেটা করা হবে।’

মন্ত্রী ইলা বলেন, ‘যাদেরকে টিকা নেওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল এবং তারা সেটা যে কোনো কারণেই হোক না কেন তারা যে তা ফিরিয়ে দিয়েছে, সেটাও নিবন্ধনে উল্লেখ থাকবে।’

সবশেষ করা জরিপে দেখা গেছে, স্পেনের প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে চান না। অবশ্য গত নভেম্বরে এই অনুপাত ছিল ৪৭ শতাংশ।

সোমবার তিনি আরও মন্তব্য করেন, যারা টিকা নিতে চান তাদের সাথে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করবে।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী ইলা বলেন, ‘যারা টিকা নিতে চান না আমরা মনে করি এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত কিন্তু তারপরও এটা তাদের অধিকার। আমরা এই বিভ্রান্তি দুর করার চেষ্টা করছি। টিকা দেওয়ার ফলে জীবন রক্ষা হবে।’

উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় সোমবার স্পেনে কোভিড-১৯ রোগে প্রাণহানির সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া  দেশটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে মহামারি করোনা।

এএস