নাগরিক-সাংবাদিকের কারাদণ্ড, চীনের সমালোচনায় ইইউ
চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর তা নিয়ে প্রতিবেদন করা নাগরিক-সাংবাদিক ঝ্যাং ঝ্যানকে কারাদণ্ড দেয়ায় দেশটির সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
গত বছর ডিসেম্বরে পৃথিবীর প্রথম যে এলাকায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল, সেই উহান শহরে কোভিড সংক্রমণ যখন তীব্র আকার ধারণ করে, সে সময় এ নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন ঝ্যাং ঝ্যান। সোমবার এই নাগরিক সাংবাদিককে চার বছর কারাবাসের আদেশ দেয় চীনের একটি আদালত। ঝ্যাংয়ের আইনজীবী বলেছেন, ‘ঝগড়া বাঁধানো এবং গোলযোগ উস্কে দেয়ার অভিযোগে তাকে এই দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।’
বিজ্ঞাপন
অবিলম্বে ঝ্যাংকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইইউ। ঝ্যাংয়ের পাশাপাশি চীনের মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী ইউ ওয়েন শেং-সহ অন্যান্য যে সব মানবাধিকার কর্মী এবং নাগরিক সাংবাদিক বর্তমানে কারাবন্দি আছেন তাদেরও মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে ইইউ।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার ইইউয়ের পররাষ্ট্রবিষয়ক দফতরের একজন মুখপাত্র একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, ঝ্যাংকে আটকের পর নির্যাতন এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
চীনের বাজারে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর প্রবেশাধিকার আরও সহজ করার জন্য ইইউ এবং চীনের চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। তার একদিন আগেই এই সমালোচনামূলক বিবৃতি দিয়েছে ইইউ।
ঝ্যাং হলেন সেই সব হাতে গোনা অল্পসংখ্যক মানুষদের একজন যারা করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থলের প্রকৃত অবস্থা তুলে আনার চেষ্টা করেছেন এবং বিশ্ববাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, উহানের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের যে বক্তব্য, বাস্তবের অবস্থা তারচেয়ে ভয়াবহ।
বিবৃতিতে ইইউয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ আরোপ, তথ্যপ্রদানে অসহযোগিতা, সাংবাদিকদের হুমকি ও নজরদারির মধ্যে রাখা, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী এবং বুদ্ধিজীবীদের আটক, বিচার ও শাস্তি প্রদানসহ সম্প্রতি চীন সরকার নাগরিকদের বিরুদ্ধে যেসব দমনমূলক নীতিগ্রহণ করেছে, সেসব বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীরভাবে অবগত।’
সূত্র: রয়টার্স।
এসএমডব্লিউ/এসএস