যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ২৬ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় আগামী ২৬ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এটা দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্লেষকদের ধারণা, ভোট হলেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা নিজের দখলেই রাখতে যাচ্ছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে আজ রোববার সিরিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার হামমৌদা সাববাঘ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, যেসব সিরিয়ান দেশের বাইরে অবস্থান করবেন তারা আগামী ২০ মে সংশ্লিষ্ট দেশে থাকা সিরিয়ার দূতাবাসে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সোমবার থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আবেদন জমা দেবেন।
সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত কোটি কোটি সিরিয়ান এবারের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য হবেন না বলে ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার বাবা হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হন বাশার আল-আসাদ। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা তিনি এখনো দেননি।
বিজ্ঞাপন
২০১১ সালে আরব বসন্তের ঢেউ লেগে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। আসাদ সরকার কঠোর হাতে বিক্ষোভ দমন শুরুর পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। সহিংসতার মধ্যেই ২০১৪ সালে হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
সিরিয়ার ২০১২ সালের সংবিধান অনুযায়ী সাত বছর মেয়াদে একজন প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে ২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বাইরে।
এছাড়া প্রার্থী হতে একজনকে টানা ১০ বছর সিরিয়ায় বাস করতে হবে। তাই প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য যেসব বিরোধী নেতা নির্বাসনে রয়েছেন তারা প্রার্থী হতে পারবেন না। ফলে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫১ বছরের শাসনের অবসান ঘটনার কোনো ইঙ্গিত নেই।
এএস