ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান
ভারতের আসাম প্রদেশে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী করিমগঞ্জ জেলার বালিয়া এলাকায় একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে রাজ্য পুলিশ। অপহরণের একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে শুক্রবার ওই সুড়ঙ্গের খোঁজ পুলিশ জানতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার।
শনিবার প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার আসামের করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজার থানার শিলুয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেনকে একদল দুর্বৃত্ত অপহরণ করেন। পরে দিলোয়ারের বাড়িতে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ফোন নম্বর দেখে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিলোয়ারের পরিবার। এরপর পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী, মুক্তিপণ কমানোর জন্য অপহরণকারীদের সঙ্গে দরকষাকষি চলতে থাকে; কিন্তু অপহরণকারীরা অনড় থাকায় পাঁচ লাখ টাকা দিতেই সম্মত হয়ে দিলোয়ারের পরিবার।
টাকা দিতে সম্মত হলে অপহরণকারীরা দিলোয়ারের পরিবারের সদস্যদের নির্দেশ দেন- শিলুয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী নয়াগ্রামের এলিমুদ্দিনের কাছে যেন মুক্তিপণের টাকা জমা দেয়া হয়। এরপরই অভিযান শুরু করে পুলিশ। এলিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয় এবং সীমান্ত এলাকায় শুরু হয় জোর তল্লাশি।
বিজ্ঞাপন
আনন্দবাজার বলছে, পুলিশের তল্লাশিতে সুড়ঙ্গের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে; এই আশঙ্কায় দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দেয় দিলোয়ারকে। ফিরে এসে তিনিই পুলিশকে সুড়ঙ্গের কথা জানান। শুক্রবার করিমগঞ্জ পুলিশ সুপার ময়ঙ্ককুমার ঝায়ের নেতৃত্বে আসাম পুলিশের একটি দল বালিয়ায় যান এবং জঙ্গলঘেরা এলাকায় সাধারণ গর্তের মত দেখতে প্রায় ২০০ মিটার লম্বা ওই সুড়ঙ্গটির সন্ধান পান।
দিলোয়ার বলেন, সুড়ঙ্গের বাংলাদেশ প্রান্তেও একই অবস্থা। ওই পথে দুর্বৃত্তরা নিয়মিত যাতায়াত করে, চলে পাচার বাণিজ্যও।
আসাম পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) বলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপহরণকারী চক্রের ভারতীয় সব সদস্যকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন ময়ঙ্ককুমার ঝা।
তিনি বলেন, অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এসএমডব্লিউ/এসএস