বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে

বিশ্বে বর্তমানে চলছে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় মিলেছে করোনা নতুন ধরন, যা আগের করোনাভাইরাস থেকে অনেকটা শক্তিশালী ও ৭০ গুণ বেশি সংক্রামক। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ কোটি ৪৯ লাখ ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৩ হাজার।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, রোববার (৩ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৭ জন এবং মারা গেছেন ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। বিশ্বব্যাপী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ কোটি ৯৩ হাজার মানুষ।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৯ লাখ ৪ হাজার ৭০১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮২ জনের। গত এক দিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ হাজার ১০৭ জন।

আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৪৯ হাজার ৪৭১ জন। গত এক দিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩০১ জন।

অপরদিকে আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৭৭ লাখ ১৬ হাজার ৪০৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৭৪২ জনের। গত এক দিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ হাজার ১০৭ জন।

তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ লাখ ১২ হাজার ৬৩৭ জন। দেশটিতে মারা গেছে ৫৮ হাজার ২ জন। গত এক দিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৪৭ জন। পঞ্চম স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ ৪৩ হাজার ২৩৯। মারা গেছে ৬৪ হাজার ৯২১ জন। গত এক দিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৫৬ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত। এরপরই এটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে। পরে ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

টিএম