মহারাষ্ট্রে ২ হাজারের বেশি রোগীর শরীরে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত পুরো ভারত। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হাজারো মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। এমন অবস্থায় ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে আবির্ভূত হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইনফেকশন বা কালো ছত্রাক সংক্রমণ। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই দুই হাজার করোনা রোগীর শরীরে এই ছত্রাকের সংক্রমণ হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ জানিয়েছেন, ‘দুই হাজারের বেশি রোগীর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দেখা গিয়েছে। যে হারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে এই ছত্রাকের সংক্রমণও বাড়বে। মেডিকেল কলেজের সঙ্গে যুক্ত হাসপাতালগুলোতে ছত্রাকে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
রাজেশ আরও বলেন, ‘এই ছত্রাক সংক্রমিত হওয়া রোগীদের মধ্যে মৃত্যুহার প্রায় ৫০ শতাংশ। তাই এই ধরনের রোগীদের একাধিক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখতে হচ্ছে।’
এর আগে রাজ্যটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের আওতায় মহারাষ্ট্রে এক হাজার হাসপাতাল রয়েছে। সেখানেই বিনামূল্যে এই রোগের চিকিৎসা করানো হবে।
ছত্রাকজনিত এ রোগকে চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় বলা হচ্ছে ‘মিউকোরমাইকোসিস’। করোনায় আক্রান্তদের দেহেই এ রোগ দেখা দিচ্ছে। অনেকে করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে মারাও যাচ্ছেন। তা ছাড়া দেহের বিভিন্ন ক্ষতি করছে এ ছত্রাক।
বিজ্ঞাপন
মূলত গুজরাট, দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে। আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ রোগে সংক্রমিত ৬৭ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এক মাসেরও কম সময়ে এ সংক্রমণ ঘটছে। এ রোগের চিকিৎসায় আক্রান্তদের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন কমে যায়, ঠিক তখনই কালো ছত্রাক সংক্রমণ ঘটায়। এই রোগে মুহূর্তেই পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যেতে পারে। সংক্রমণ তীব্র হলে রোগী মারাও যেতে পারেন।
এ রোগের চিকিৎসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে এখন ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ রোগের চিকিৎসায় মূল ছত্রাক প্রতিরোধী ওষুধ ‘অ্যাম্ফোটেরিসিন বি’ ব্যবহার করা হচ্ছে।
টিএম