সোনিয়া আচেভিদো

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার দুইদিন পরই মারা গেছেন পর্তুগালের এক স্বাস্থ্যকর্মী। ৪১ বছর বয়সী ওই স্বাস্থ্যকর্মীর নাম সোনিয়া আচেভিদো। তিনি ফাইজারের করোনা টিকা নিয়েছিলেন। টিকা নেওয়ার দুই দিনের মাথায় নতুন বছরের প্রথম দিনে ‘হঠাৎই মারা যান’ ওই স্বাস্থ্যকর্মী।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বা বুধবার (৬ জানুয়ারি) ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

টিকা নেওয়ার পর মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা শারীরিক সমস্যা হচ্ছে বলে কিছুই জানাননি সোনিয়া আচেভিদো। দুই সন্তানের জননী এই স্বাস্থ্যকর্মী ‘পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট অব অনকোলজি’ হাসপাতালে চাকরি করতেন।

মৃত সোনিয়ার বাবা আবিলিও আচেভিদো পর্তুগিজ দৈনিক পত্রিকা কোরেয়িও দ্য মানহা’কে বলেন, ‘(টিকা নেওয়ার পর থেকে) সে একদমই সুস্থ ছিল। তার শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি। করোনা টিকা নিলেও তার শরীরে কোনো লক্ষণ ছিল না। আমি জানি না কি ঘটলো! কি কারণে আমার মেয়ের মৃত্যু হল, আমি জানতে চাই।’

আমি শুধু আমার মেয়ের মৃত্যুর উত্তর চাই

সোনিয়া আচেভিদোর বাবা

এদিকে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে সোনিয়া আচেভিদোকে করোনার টিকা দেওয়া ও পরে তার মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছে তার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। তবে টিকা নেওয়ার সময় বা নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পর্যন্ত সোনিয়ার শরীরে অপ্রত্যাশিত কোনো প্রভাব পড়ার খবর তারা পাননি বলেও প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়।

সোনিয়া আচেভিদোর হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট অব অনকোলজি হাসপাতাল। বিবৃতিতে সোনিয়ার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। মৃত্যুর কারণ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে বলেও বিবৃতিতে জানায় হাসপাতালটি।

টিকা নেওয়ার পর স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুর বিষয়টি পর্তুগালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

এক কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশ পর্তুগালে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭ হাজার ১১৮ জন। গত ডিসেম্বরে বড়দিনের উৎসবের পর থেকে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ আবারও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিএম