ধান মাড়াই করছেন কৃষকরা

বিশ্বের তৃতীয় চাল উৎপাদনকারী দেশ দক্ষিণ এশিয়ার ভিয়েতনাম। দেশীয় সরবরাহ কমে যাওয়া ও স্থানীয় বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত থেকে চাল আমদানি করছে ৯ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জনসংখ্যার এ দেশটি। যা গত কয়েক দশকে এই প্রথম।

ভিয়েতনামের চার শিল্প কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স এতথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্বের বৃহত্তম চাল রফতানিকারকরা বলছেন, এশিয়ায় চাল সরবরাহ জোরদার করতে ২০২১ সালে ব্যবসায়ীরা থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের দিকে থেকে সরে ভারতের উপর বেশি নির্ভরশীল হবেন।

শিল্প কর্মকর্তারা জানান, এক চুক্তিতে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ফ্রি-অন-বোর্ডের (এফওবি) ভিত্তিতে প্রতিটনে প্রায় ৩১০ ডলারের চুক্তিতে মোট ৭০ হাজার ভাঙা চাল রফতানি করবে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) ভিয়েতনামের চাল রফতানিকারক সমিতির সভাপতি বি ভি কৃষ্ণ রাও রয়টার্সকে বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো ভিয়েতনামে চাল রফতানি করছি। ভারতীয় দাম খুব আকর্ষণীয় ও বিশাল দামের পার্থক্য থাকায় চাল রফতানি সম্ভব হচ্ছে।

ক্রমহ্রাসমান সরবরাহ এবং ফিলিপাইনের ভিয়েতনামি চাল ক্রয়ই দেশটিকে নতুন বছরে রফতানিমুখী হওয়ার এই উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ভিয়েতনাম নিজেদের ৫ ভাগ ভাঙা চাল প্রতিটন ৫০০ থেকে ৫০৫ ডলারে বিক্রি করে। যেখানে ভারত থেকে তারা এ চাল ৩৮১-থেকে ৩৮৭ টাকায় কিনতে পারে।

এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, উপ-সাহারান আফ্রিকার অঞ্চলগুলোর জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে আমদানির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সংকুচিত সরবরাহ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এ উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, দীর্ঘকালীন ও তীব্র ক্ষুধা প্রায় প্রতিটি দেশের দুর্বল পরিবারগুলোকেই প্রভাবিত করছে। আবার করোনাভাইরাস মহামারিতে মানুষের আয় কমে যাওয়ায় সরবরাহ চেইনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।