হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের গণগ্রেফতার
কমপক্ষে ৫০ জন গণতন্ত্রপন্থী আইনপ্রণেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করেছে হংকং। বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ফেসবুক পেইজের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, গতবছর স্বাধীনভাবে আয়োজন করা একটি নির্বাচনের কারণে নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। আইনসভার নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য সেরা সদস্য বেছে নিতেই এই ‘‘প্রাথমিক ভোটের’’ আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এই নির্বাচন হংকংয়ের মর্যাদাকে খাটো করবে বলে সেসময় গণতন্ত্রপন্থী নেতা ক্যারি ল্যামকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেয় চীন। নতুন আইনের অধীনে অঞ্চলটির গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের গণগ্রেফতারের মাধ্যমে দমনপীড়ন করা হচ্ছে। এমনকি হংকংয়ের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও সিভিক পার্টির কয়েকজন বড়মাপের বিরোধী নেতাকেও এই আইনের অধীনে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে হংকংয়ের পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থী হিসেবে কারা ভালো হবেন, সেটা বেছে নিতেই গত বছরের জুলাই মাসে স্বতন্ত্রভাবে একটি ভোটের আয়োজন করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে সেপ্টেম্বরের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। করোনা মহামারির কারণেই নির্বাচন স্থগিত করা হয় বলেও জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে এই ধরপাকড় সম্পর্কে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি হংকংয়ের পুলিশ।
২০১৯ সাল থেকে চীনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করছে হংকং। তাদের বক্তব্য, ১৯৮৪ সালের চুক্তি লঙ্ঘন করছে চীন। যুক্তরাজ্যের নিকট থেকে গত শতাব্দীর শেষের দিকে হংকংয়ের দায়িত্ব নেয় চীন। অঞ্চলটিকে দেওয়া হয় বিশেষ অধিকার।
কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে গণতন্ত্রে আঘাত হানছে চীন, এই অভিযোগে আন্দোলন শুরু করে হংকং। কিছুদিন আগে তারই জেরে নতুন আইন কার্যকর করে চীন।
টিএম