কানাডায় ধীর গতিতে চলছে টিকাদান কার্যক্রম
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ইতোমধ্যেই টিকা এসে পৌঁছে গেছে। কানাডা ফাইজার ও মডার্নার টিকা মিলিয়ে মোট চার লাখ ২৪ হাজার ৫০ ডোজ টিকা হাতে পেয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেশটিতে এক লাখ ৪৮ হাজার নাগরিককে টিকা দেয়া হয়েছে।
টিকাদানে ধীরগতির কারণে ভ্যাকসিনগুলো ফ্রিজারে পরে আছে, অথচ নাগরিকরা পাচ্ছেন না। প্রদেশগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম ধীর গতির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টিকাদানের ধীর গতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ট্রুডো বলেন, ফ্রিজারে ভ্যাকসিন পরে আছে অথচ নাগরিকদের শরীরে এগুলো এখনো পৌঁছায়নি। আমি নিজে ও কানাডিয়ানরা এতে হতাশ।
প্রধানমন্ত্রী জানান, জানুয়ারির মধ্যে কানাডায় ১০ লাখ ডোজ টিকা এসে পৌঁছাবে। প্রতিজনকে দুটি করে পাঁচ লাখ নাগরিককে জানুয়ারির মধ্যেই টিকা দেওয়া যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করা হবে।
যদিও বিভিন্ন প্রদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদান চলছে। টিকাদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অন্টারিও প্রদেশ। এই প্রদেশে মাত্র ৫০ হাজার নাগরিককে এ পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কানাডায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ১৪ ডিসেম্বর। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ১৮ হাজার ৬৪৬ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬ হাজার ২৩৩ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৪ জন।
অন্যদিকে কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা ও কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপক চাপ পড়ছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেওয়া সত্ত্বেও করোনা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
ওএফ