এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ইরাক
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ও মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহান্দিস হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইরাক।
কয়েকদিন আগে ইরানের একটি আদালত একই ধরনের পরোয়ানা জারির পর বৃহস্পতিবার ইরাকের একটি আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন।
বিজ্ঞাপন
গত বছর ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় ওই দু’জন নিহত হন। ইরাক এবং ইরানের প্রভাবশালী এই দুই ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো মধ্যপ্রাচ্য।
ইরাকের মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর জোট প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন আল-মুহান্দিস। অন্যদিকে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন জেনারেল কাসেম সোলেইমানি; যিনি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বিভিন্ন গোপন মিশনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত জোট নিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরানের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি। সোলেইমানি এবং আল-মুহান্দিসকে হত্যায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন বাগদাদের তদন্ত আদালতের একজন বিচারক।
আল-মুহান্দিসের পরিবারের সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারক এই পরোয়ানা জারি করেন।
ইরাকি আইনে এই হত্যাকাণ্ডের সাজা মৃত্যুদণ্ড হলেও তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে বলে ইরাকের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় পরিষদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে ইরানের একটি আদালতও একই হত্যাকাণ্ডের দায়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের জানুয়ারির এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-ইরাকের কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপক টানাপোড়েন তৈরি হয়। সেই সময় ইরাকের পার্লামেন্টে একটি বিশেষ প্রস্তাবনা এনে দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন সামরিকবাহিনীকে বাধ্যতামূলক বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
পরে ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠী ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক বাহিনীর অবস্থানে হামলা জোরদার করে। এতে বাগদাদে মার্কিন কূটনৈতিক মিশন বন্ধের হুমকি তৈরি হয়।
সূত্র: এপি।
এসএস