ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের মেরাপি আগ্নেয় পর্বতে ভয়াবহ অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠা এই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে উদ্গিরীন হওয়া গরম ধোঁয়ার মেঘ পর্বত থেকে তিন কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ভূতাত্ত্বিক এবং আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা।

পর্বতের পাদদেশে বসবাসকারীদের ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মেরাপি পর্বত এলাকার নিকটবর্তী ইয়োগিয়াকার্তা শহর কর্তৃপক্ষ।  

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেরাপি আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মেরাপি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে নির্গত গরম ধোঁয়া ৬৫৬ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উঠতে দেখেছেন তারা।

ইয়োগিয়াকার্তা আগ্নেয়গিরি ও ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্রের প্রধান হানিক হুমাইদা জানান, পর্বতের ওপর জড়ো হয়ে থাকা মেঘের কারণে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ সক্রিয় হওয়ার বিষয়টি প্রথমে আঁচ করতে পারেনি কেউ। পরে অ্যামপ্লিচুড (পর্বতের প্রশস্ততা) এবং সিসমিক রেকর্ড পর্যালোচনা করে জানা যায়, উদগীরণ হওয়া ধোঁয়া আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে আছে।

মেরাপি আগ্নেয় পর্বতের অবস্থান ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের মাগেলাং জেলায়। পর্বত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরেই ইয়োগিয়াকার্তা শহর। এই পর্বতের ঢাল ও পাদদেশে বসবাস করেন প্রায় আড়াইলাখ মানুষ।

হানিক হুমাইদা বলেন,‘আগ্নেয়গিরির সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গরম ধোঁয়া জ্বালামুখ থেকে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠেছে।’  

মেরাপি আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হয়ে ওঠার লক্ষণ গত নভেম্বরেই লক্ষ্য করেছিল ইন্দোনেশিয়ার ভূতত্ত্ব বিষয়ক কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে সে সময় থেকেই ওই এলাকায় পর্যটন এবং খনিসংক্রান্ত খননকাজে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছিল।

এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালে সক্রিয় হয়েছিল মেরাপি আগ্নেয়গিরি। সে সময় অগ্নুৎপাতের কারণে মারা গিয়েছিলেন ৩৪৭ জন মানুষ।

মাউন্ট মেরাপিসহ পুরো ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় আগ্নেগিরির সংখ্যা ১২০টি বলে জানিয়েছেন দেশটির ভূতাত্ত্বিকরা।

 

সূত্র: আলজাজিরা।

এসএমডব্লিউ