ফাইজারের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
প্রতীকী ছবি
ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জরুরিভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হবে।
দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) মহামারি ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে যখন এ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল, ততক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে কোভিড-১৯। এর মধ্যে গত ১০ ডিসেম্বর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে; যা মহামারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বের যেকোনো দেশে একদিনে সর্বোচ্চ।
গত নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের আগে ভ্যাকসিনের অনুমোদনে চাপ দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন সমালোচকরা; যদিও সম্প্রতি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফাইজার ও এফডিএ-র সমালোচনা করে তাদেরকে ‘বড়, বয়স্ক ধীর কচ্ছপের’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
টিকার অনুমোদনের বিষয়ে বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর শাহিন একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশগুলোর আমাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ।
এদিকে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম টিকা প্রয়োগ করা হবে।
বিজ্ঞাপন
ফেডেক্স এবং ইউপিএস’র সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রতিটি রাজ্য এবং জিপ কোডে আমরা এরইমধ্যে ওষুধ পৌঁছানো শুরু করেছি। কে আগে টিকা পাবেন, এখন রাজ্য গভর্নররা সিদ্ধান্ত নেবেন, বলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের বয়স্ক নাগরিক, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা আগে টিকাটি পায়। তাতে দ্রুত এবং লক্ষ্যণীয়ভাবে মৃত্যু হার ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমবে।
এর আগে যাদের শরীরে গুরুতর অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের ফাইজারের টিকা না নেওয়ার জন্য সতর্ক করে যুক্তরাজ্য। যদিও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে গুরুতর অ্যালার্জিজনিত কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ফাইজারের এক মুখপাত্র।
গত ২ ডিসেম্বর ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন সর্বত্র প্রয়োগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। এরপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেয় বাইরাইন, সৌদি আরব ও কানাডা।
জেডএস