ইন্দোনেশিয়ায় জোড়া ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের এক গ্রামে দুটি ভূমধসে ছয় বছরের শিশুসহ কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার জোড়া ভূমিধসে আরও ১৮ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্তৃপক্ষ দেশটির রাজধানী শহর জাকার্তা থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরের চিহানজুয়াং গ্রামে প্রাণঘাতী দুটি ভূমিধসের খবর জানায়।
বিজ্ঞাপন
বানদুং উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র সেনি উলুনদারি জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণে মাটির ক্ষয়ের ফলে ভূমিধস হয়েছে। পরপর দুটি ভূমিধস হলে ধ্বংসস্তুপের ভেতরে চাপা পড়া মানুষের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় ভূমিধসের পর কতজন মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন তার তালিকা তৈরির কাজ করা হচ্ছে। কেননা ভূমিধসের পর সেখানকার স্থানীয় অনেক মানুষও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।’
বিজ্ঞাপন
সেনি উলুনদা আরও জানিয়েছেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে জীবিত উদ্ধার হওয়া এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বোর্ডের (বিএনপিবি) মুখপাত্র রাদিত্য জাতি বলেন, ‘প্রথম ভূমিধসটি হয়েছে ভারী বৃষ্টির কারণে। এরপর উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি অভিযান শুরুর করলে দ্বিতীয়বার ভূমিধস হয়।’
প্রায়ই প্রাণঘাতী ভূমিধস ও বন্যার কবলে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া। বিশেষ করে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চলা বর্ষাকালে। প্রতিনিয়ত বন উজারের মাধ্যমে দিন দিন এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে।
ইন্দোনেশিয়ার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার দেওয়া হিসাব অনুযায়ী দেশটির ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভূমিধসের ঝূকিপ্রবণ এলাকাগুলোতে বসবাস করেন।
এএস