ব্রাজিলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর পর সম্প্রতি দেশটির গবেষকদের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের উদ্ভাবিত মহামারি করোনাভাইরাসের একটি টিকা ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকর। 

তবে এর আগে প্রকাশিত ফলাফলে এই টিকার যে কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায় নতুন ট্রায়ালে দেখা যাচ্ছে, টিকাটির কার্যকারিতা তার চেয়ে অনেক কম। উল্লেখ্য, টিকা অনুমোদনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতার প্রয়োজন পড়ে।  

বিবিসি বুধবার এ খবর জানিয়ে লিখেছে, মহামারি করোনায় শীর্ষ বিপর্যস্ত দেশের একটি হলো ব্রাজিল। দেশটির সরকার যে দুটি টিকার মাধ্যমে দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর কথা ভাবছে, চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি টিকা এর মধ্যে অন্যতম। 

সিনোভ্যাক হলো বেইজিংভিত্তিক একটি জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি। তাদের তৈরি টিকার নাম করোনাভ্যাক। ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক এবং সিঙ্গাপুর ছাড়াও আরও অনেক দেশ ইতোমধ্যে এই টিকা কেনার জন্য চুক্তি করে রেখেছে। 

ব্রাজিলে টিকার ট্রায়াল পরিচালনাকারী বুটান্টান ইনস্টিটিউটের গবেষকরা গত সপ্তাহে ঘোষণা দেন যে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত মাঝারি থেকে বেশি অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতার হার ৭৮ শতাংশ। 

তবে তারা দেখেন, তাদের হিসাবে খুবই কম অসুস্থদের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। পরে তারা এমন গোষ্ঠীভুক্ত মানুষের ওপর টিকার ট্রায়ালের ফল বিশ্লেষণ করে দেখেন যে, প্রকৃতপক্ষে টিকাটির কার্যকারিতা ৫০.৪ শতাংশ। 

চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি এই টিকার কার্যকারিতা একেক দেশের ট্রায়ালে একেক রকম দেখা যাচ্ছে। যেমন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে গত মাসে তুরস্কের গবেষকরা জানান, এই টিকার কার্যকারিতার হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।  

গত বুধবার গণহারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়া দেশ ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, সিনোভ্যাকের তৈরি করোনা টিকা ৬৫ দশমিক ৩ শতাংশ কার্যকর। তবে দুই দেশই শেষ ধাপের ট্রায়ালের অন্তর্বর্তী ফলাফল বিশ্লেষণ শেষে এই কার্যকারিতার কথা জানিয়েছে।

এতে করে সমালোচনা আর উদ্বেগ আরও বেড়েছে যে, পশ্চিমা দেশগুলোতে যেভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে টিকার ট্রায়াল ও ট্রায়ালের পর পাওয়া ফলাফল জানানো হচ্ছে, সেই তুলনায় চীনের তৈরি টিকাগুলোর ক্ষেত্রে এ স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এএস