আট মাস পর করোনায় মৃত্যু চীনে
চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ মৃত্যুর প্রায় আট মাস পর মারা গেছেন আর একজন করোনা রোগী। ১৪ জানুয়ারি চীনের হেবেই প্রদেশে এই ঘটনা ঘটেছে। কাকতালীয়ভাবে একই দিনে করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে চীনে পৌঁছেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদল।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনে প্রথম মৃত্যু হয়েছিল গতবছর ১১ জানুয়ারি। চীনের পাশাপাশি বিশ্বেও করোনায় প্রথম মৃত্যু ছিল সেটি। এরপর গতবছর মে মাসে চীনে সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দেশটির সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৪ হাজার ৬৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে চীনের যে কয়েকটি অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ বেশি, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে হেবেই প্রদেশ। সেখানকার রাজধানী শিজিয়াঝুয়াংকে বর্তমানে করোনার নতুন কেন্দ্রস্থল বা এপিসেন্টার বলে মত দিয়েছেন চীনের বিজ্ঞানী ও জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
এছাড়া চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হেইলংজিংঙেও সম্প্রতি বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের উচ্চহারের প্রেক্ষিতে প্রদেশের জিংতাই ও ল্যাংফ্যাং শহরে লকডাউন আরোপের পাশাপাশি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে হেইলংজিঙে।
বিজ্ঞাপন
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত হুনান সি-ফুড মার্কেটে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম যে ব্যক্তি মারা যান, ওই মাকেটে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল।
৬১ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি যখন মারা যান, তখনো এই রোগের নাম নির্দিষ্ট করা হয়নি। চীনের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘অপরিচিত ধরনের নিউমোনিয়া’ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।
করোনায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, চীন থেকে গোটা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ বলেও উল্লেখ করেছেন বেশ কয়েকবার।
তবে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন। দেশটির দাবি, করোনাভাইরাসের উত্স নির্দিষ্ট কোনও একটি এলাকা নয়; একাধিক উত্স থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকৃত উৎস অনুসন্ধানে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে ইতোমধ্যে পৌঁছেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দল। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে শহরটিতে পৌঁছান তারা।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ১০ জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ। উহানে বসবাসকারী মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর ওপর মহামারি ও ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব এবং তাদের রক্তরস বা সিরাম বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উদ্ভবের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যেই সেখানে গিয়েছেন তারা।
সূত্র: উইয়ন
এসএমডব্লিউ