যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন আরও একটি ধরন
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের নতুন আরও একটি ধরন খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। দেশটির ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ভাইরাসের নতুন এই ধরনটি আবিষ্কার করেন।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। মঙ্গলবারও দেশটিতে রেকর্ডসংখ্যক চার হাজার ৩০০ মানুষ মারা গেছে। অন্যদিকে করোনার টিকাদান কর্মসূচির গতি ক্রমেই বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার দেশটির প্রায় ১০ লাখ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে মার্কিন স্বাস্থ্য সংকট যখন প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে, ঠিক এমন মুহূর্তে মহামারি করোনায় শীর্ষ বিপর্যস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার চব্বিশ ঘণ্টায় চার হাজারের বেশে মানুষের প্রাণহানি ঘটল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ বলছে, ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের আবিষ্কৃত করোনার ওই নতুন ধরনটি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া ধরন থেকে রূপান্তরিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি অঙ্গরাজ্যে ভাইরাসের এই নতুন ধরনটি শনাক্ত করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়। নতুন শনাক্ত এই ধরনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলম্বাস স্ট্রেইন’।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি জানায়, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনের মতো ‘কলম্বাস স্ট্রেইন’ও অনেক বেশি সংক্রামক। এটিও এক জন থেকে অন্য জনকে খুব সহজে সংক্রমিত করে।
গবেষক পিটার মোহলার বলেন, ভাইরাসের এই নতুন ধরনের বিরুদ্ধে করোনা টিকাগুলো কাজ করবে না, এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন,‘এছাড়া ভাইরাসের এই নতুন ধরন করোনা টিকার কার্যকারিতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা, তা আমরা এখনও জানি না।’
কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্ট জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এখন আনুমানিক এক লাখ ৩১ হাজার। প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দুঃখজনক মৃত্যুর মাইলফলক ও ইতোমধ্যে শনাক্ত নতুন ধরনের বাইরে নতুন আরও কোন ধরনের আমদানি যাতে না হয় এ জন্য এখন থেকে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে গেলে তার করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝমাঝি থেকে দেশটিতে শুরু হয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। প্রথমে ফাইজার-বায়োএনটেক পরে মডার্নার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বা এফডিএ।
মার্কিন সরকার ডিসেম্বরের মধ্যেই উল্লেখ্যযোগ্যসংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও এখন পর্যন্ত এক কোটি আমেরিকান টিকা নিয়েছেন।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির এই দেশটির দুই কোটি ৩৬ লাখ মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে মহামারি করোনা।
সূত্র: সিবিএস নিউজ
টিএম