ক্ষমতার শেষ মহূর্তেও ‘প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী’ চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নতুন করে বেশ কিছু চীনা প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ পেন্টাগন। 

চীনের ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা, সেনাবাহিনীর একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও দশটি চীনা কোম্পানির লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। 

ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে অনেক কূটনীতিকদের দাবি, এই পদক্ষেপ জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে বেইজিংয়ের সুসম্পর্কের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সবশেষ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চীনের জ্বালানি সংস্থা ‘চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল করপোরেশন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানি বা ব্যবসায়ী তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনে করত পারবে না।

পাশাপাশি আরও নয়টি চীনা কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চীনের বিমান নির্মাণ সংস্থা কোম্যাত এবং স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি শাওমি করপোরেশন। 

চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ২০২১ সালের ১১ নভেম্বরের মধ্যে এসব চীনা কোম্পানির সঙ্গে সব ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

চীনের কোম্পানিগুলো এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া না জানালেও চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো ক্ষমতার অপব্যবহার করে, জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বিদেশি সংস্থাগুলোকে জব্দ করা।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর দাবি, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা আগ্রাসনের জেরে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই চীনের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ।

এর আগে আলিবাবা, ডেনসেন্ট, বাইডুর মতো চীনা প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে শেষ মুহূর্তে তা অবশ্য বাতিল করা হয়।

এএস