ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮১
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ জনে। ভূমিকম্পের পর চারদিন পার হলেও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রন্ত মানুষের জন্য ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করেছে দেশটি। গত শুক্রবার দেশটির সুলায়েসি দ্বীপে এই ঘটনা ঘটে। আহত হন প্রায় আট’শ মানুষ।
ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি বার্তাসংস্থা এপি’কে বলেন, দেশটির সুলায়েসি দ্বীপের মামুজু শহর ও পার্শ্ববর্তী ম্যাজেন জেলায় ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধার ও ঘরবাড়ি হারানো মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, শুক্রবার হওয়া ৬ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ৮১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মামুজুতে ৭০ জন এবং ম্যাজেনে নিহত হয়েছেন ১১ জন ।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঘরবাড়ি হারানো প্রায় ২৭ হাজার ৮৫০ জন মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় আট’শ মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দেশটির সুলায়েসি দ্বীপে হওয়া গত সর্বশেষ এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.২। এর উৎসস্থল ম্যাজিন শহরের উত্তর-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
সিএনএন এর আগে জানিয়েছিল, শুক্রবারের এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগেও ওই দ্বীপে ভূকম্পন হয়েছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৯। ফলে শুক্রবার সকালের ঘটনাকে ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন (আফটার শক) বলে ধারণা করা হয়। অবশ্য ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সুলায়েসি দ্বীপ। কম্পন প্রায় ৭ সেকেন্ড মতো স্থায়ী হয়েছিল। আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কম্পনের তীব্রতায় ধ্বসে পড়ে বাড়ি, অফিস, হাসপাতালসহ অনেক ভবন।
দেশটির মামুজু শহরে একটি হাসপতালও ধ্বসে পড়ে বলে জানায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের পর স্থানীয়রা ঘর থেকে বেরিয়ে উঁচু কোনো স্থানে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছে।
ভিডিওতে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের খালি হাতে উদ্ধারের চেষ্টা করতেও দেখা যায়।
সূত্র: এপি
টিএম