পুতিনবিরোধী নেতা নাভালনির ৩০ দিনের কারাদণ্ড

দেশে ফিরেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি। স্থগিত দণ্ডের ‘শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে’ তাকে মস্কো বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) তাকে ৩০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাশিয়ার একটি আদালত।

বিচার শুরু আগে এই ৩০ দিন তাকে রিমান্ডে রাখার বিষয়ে আদালত আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

এর আগে বিমানবন্দর থেকে আটকের পর পুতিনের কঠোর সমালোচক নাভালনির মুক্তি দাবি করেছিল পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। সেই দাবি উপেক্ষা করে কারাদণ্ড দেওয়ায় মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের উত্তেজনা বাড়বে সন্দেহ নেই।

গত আগস্ট মাসে বিষপ্রয়োগের ফলে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে জার্মানিতে চিকিৎসা নিতে যান নাভালনি। চিকিৎসা শেষে পাঁচ মাস পর দেশে ফেরার পরই রোববার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অ্যালেক্সি নাভালনির মুখপাত্র কীরা ইয়ারমিশ জানিয়েছিলেন, বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তারের পর তার সঙ্গে কাউকে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

অবশ্য গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়েই প্রায় পাঁচ মাস পর জার্মানির বার্লিন থেকে রাশিয়ায় ফিরে এসেছিলেন নাভালনি।

কিন্তু সেখানে তাদেরকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন শত শত সমর্থক। আর তাই নাভালনির বিমান সেখানে নামতে না দিয়ে শেরেমিতিয়েভো বিমানবন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়।

গত বছরের আগস্ট মাসে বিমানে করে সার্বিয়া থেকে মস্কো ফেরার সময় চা পানের পরই অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন নাভলনি। বিমানবন্দর থেকে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার পরিবর্তন না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরীক্ষায় জানায় যায়, সোভিয়েত আমলে তৈরি বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট নোভিচক দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।

আটক হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে পুতিনবিরোধী এই নেতা বিমানবন্দরে তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন,‘আমি জানি, আমি সঠিক পথে আছি। আমি কিছুতেই ভয় করি না।’

রাশিয়ার কারা বিভাগ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, ২০১৪ সালের একটি মামলায় স্থগিত দণ্ডের ‘শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে’ মস্কোতে ফিরলেই নাভালনিকে গ্রেপ্তার করা হবে।

সূত্র: আলজাজিরা

টিএম