এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে আইনি বৈধতা দেবেন বাইডেন
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা লাখ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্বের পথ সুগম করার জন্য অফিসে ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই অভিবাসনের নিয়ম বদলাতে নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করবেন জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা সম্পর্কে চার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক কোটি ১০ লাখ (১১ মিলিয়ন) অভিবাসীকে অবিলম্বে আইনি বৈধতা বা নাগরিকত্ব দিতে গত শনিবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তিনি কংগ্রেসের প্রতি এই আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারণা চালানোর সময় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন বাইডেন।
তবে নির্বাবনে জেতার পর বাইডেন এ বিষয়ে কত দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা কারও ছিল না।
অবশ্য বাইডেনের এ পরিকল্পনা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে প্রচারণায় ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং নির্বাচনে তার সফলতাও পেয়েছিলেন।
কিন্তু ট্রাম্পের একেবারে উল্টো নীতি গ্রহণ করে সফলতা পাওয়ার পর এবার ক্ষমতাগ্রহণের পরপরই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের আইনি বৈধতা দিতে যাচ্ছেন বাইডেন।
বাইডেনের এই সম্ভাব্য নির্বাহী আদেশ সম্পর্কে ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ল সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মেরিলেনা হিনক্যাপি বলেন, বাইডেন যদি এই আদেশ জারি করেন, তবে তা হবে ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী এজেন্ডার বিপরীতে সত্যিই এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন।
এর মাধ্যমে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব অবৈধ অভিবাসী নাগরিকত্বের স্বীকৃতি পাবেন বলেও জানান তিনি।
বাইডেন প্রশাসনের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন রন ক্লেইন। গত শনিবার বার্তাসংস্থা এপি’কে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই কংগ্রেসে অভিবাসন বিল পাঠাবেন বাইডেন।
তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি এবং বাইডেনের দপ্তরও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
বাইডেনের এ প্রচেষ্টা সফল হলে তা হবে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের পর অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা মানুষদেরকে আইনি বৈধতা দেওয়ার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
সাবেক প্রেসিডেন্ট রিগ্যান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে ৩০ লাখ মানুষকে আইনি বৈধতা দিয়েছিলেন।
অবশ্য ২০০৭ ও ২০১৩ সালে আভিবাসন আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি।
সূত্র: এপি
টিএম