ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে কাতার। একইসঙ্গে ইরান-আরব দ্বন্দ্ব মেটাতে দোহা মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটি। মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ কথা বলেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি।

ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,‘অন্য বেশ কয়েকটি জিসিসি (উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা) দেশ এই ইচ্ছা (কাতারের মধ্যস্থতা) পোষণ করেছে।’

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইরানের হাতে আটক হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার একটি তেল ট্যাংকারের মুক্তির বিষয়ে তেহরান-সিউলের চলমান আলোচনাকে সমর্থন করছে কাতার।

চলতি মাসের শুরুর দিকে পারস্য উপসাগরের পানি দূষিত করার অভিযোগে ওই তেল ট্যাংকারটি আটক করে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে কার্যকর আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে কাতার এই আলোচনা শুরু ও এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। এ বিষয়ে কাতারের সমর্থন থাকবে।

আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদে মদদ দেয়া, মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব এবং তার মিত্র দেশগুলোর প্রধান শত্রু ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির মিত্রভাবাপন্ন তিনটি দেশ - সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশর।

এই ১৩ শর্তের মধ্যে মোটা দাগে প্রধান দাবি ছিল- কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক বন্ধ করা, কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা, মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা কমানো।

অবশ্য কাতার এসব দাবির একটিও মেনে নেয়নি।

চলতি বছরের শুরুতে কাতারের বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধ তুলে নেয় সৌদি আরবের নেতৃত্বে চার উপসাগরীয় আরব দেশ।

অবশ্য বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতারের বরাবরই কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে আফগান সংকট নিরসনে তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এবং তালেবান-আফগান সরকারের শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে মধ্যপ্রাচ্যের এই ধনী দেশটি।

সূত্র: রয়টার্স

টিএম