বাইডেনকে বিপজ্জনক এক বিশ্ব দিয়ে গেলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে সাম্প্রতিক হামলা-সহিংসতা কেবলমাত্র জেগে ওঠার ডাক নয়, বরং বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমেরিকাকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে গভীর বিভাজনের মধ্যে রেখে গেলেন এবং রাজনৈতিক সহিংসতার এক নাট্যমঞ্চে রূপান্তরিত করে গেলেন সেটিও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব তার শাসনামলের চার বছরে প্রায় একই রকম ছিল। বুধবার জো বাইডেনের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেও আসলে ট্রাম্প উত্তরসূরীর হাতে তুলে দিয়ে যাচ্ছেন এক বিপজ্জনক বিশ্ব; যা চার বছর আগেও এতটা বিপজ্জনক ছিল না।
বিজ্ঞাপন
এক পারমাণবিক বিশ্ব
হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় বসার পর ট্রাম্প বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন; যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পাঁচ বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়া। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিশ্বের অন্য পাঁচ বৃহৎ শক্তিকে নিয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কয়েক দশকের বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ওবামা প্রশাসনের এই চুক্তি সেই সময় বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার শর্তে তেহরান ইউরেনিয়ামের মজুদ ৩০০ কেজিতে রাখতে রাজি হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরান নতুন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য দেশটি বর্তমানে বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ২০ শতাংশে উন্নীত করার কাছাকাছি রয়েছে।
বর্তমানে ইরান ২ দশমিক ৪ টন ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে; যা চুক্তিকালীন সময়ের তুলনায় ১২ গুণ বেশি।
নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞাসহ ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতিতে ইরানিরা প্রতিনিয়ত ভুগলেও দেশটির পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির লাগাম টানা যায়নি। চুক্তি লঙ্ঘনের সুযোগ তৈরি হওয়ায় ইরান এখন নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পথ খুঁজছে। কিন্তু ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি মোকাবিলায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে রয়েছেন বাইডেন।
ইরান বলছে, তারা চুক্তির শর্তের ব্যাপারে আলোচনা করবে না। তবে এ ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর। আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের মধ্যপ্রাচ্য কর্মসূচির পরিচালক জুস্ট হিল্টারম্যান সিএনএনকে বলেন, এই দৈত্যকে বোতলে পুড়ে ফেলা কঠিন হতে যাচ্ছে।
২০১৯ সালে ইরান হরমুজ প্রণালীর কাছে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করে। একই বছরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র সৌদি আরবের বৃহত্তম তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো গ্রুপের স্থাপনায় হামলা হয়। এই হামলার দায় চাপানো হয় ইরানের ওপর; যদিও তেহরান তা অস্বীকার করে।
গত বছরের জানুয়ারিতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি নিহত হন।
এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন একটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান।
হিল্টারম্যান বলেন, এসব ঘটনার যে কোনও একটি নতুন করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করতে পারে; যা থেকে বড় ধরনের সংঘাতও হতে পারে। কিছুক্ষেত্রে উত্তেজনা দেখা গেছেও। উদাহরণ হিসেবে সোলেইমানি হত্যকাণ্ডের পর ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথা বলা যেতে পারে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর শতাধিক সদস্য মস্তিষ্কের আঘাতজনিত অসুস্থতায় ভোগেন। পরে মার্চে আরেকটি সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই ও ব্রিটেনের এক সৈন্য নিহত হন।
আলোচনার জন্য নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে ট্রাম্পকে কৌশলে সুচতুরভাবে ব্যবহার করেছে তেহরান। আর এই একই কাজটি করেছে উত্তর কোরিয়াও। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেসে দেশটির নেতা কিম জং উন তার দেশের হাতে থাকা পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন। নতুন নতুন অস্ত্র তৈরির উচ্চাশার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প কোরীয় দ্বীপে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করলেও আলোচনার টেবিলে বসেন কিমের সঙ্গে। তার আগে পিয়ংইয়ংকে বড় বোতাম চেপে ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ছোট্ট রকেট মানব বলে আখ্যা দেন টাম্প।
এ নিয়ে পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটনের চরম বাগাড়ম্বরপূর্ণ হুমকি-পাল্টা হুমকি চললেও কিম জন উনের প্রয়াত বাবার অধরা স্বপ্ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসাকে বাস্তবে রূপ দেন উত্তরের নেতা।
কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সাময়িক বিরতি দিলেও উত্তর কোরিয়ার নেতাকে বশে আনতে পারেনি। দুই নেতা তিনবারের মতো মুখোমুখি বৈঠকে বসলেও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের মতো কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। এরপর পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সিউল এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের ধারণা— উত্তর কোরিয়া নিজেদের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করেছে।
স্টকহোমের ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে উত্তর কোরিয়ার হাতে ১০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০।
রাশিয়ার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটেছে ট্রাম্পের শাসনামলে। এ দুই দেশের মধ্যে স্নায়ূযুদ্ধের সময়ের একটি পারমাণবিক চুক্তি নিষ্ক্রিয় রয়েছে। আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইন্টারমেডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প।
চুক্তিতে ৫০০ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার মাত্রার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়। রাশিয়া ওই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে ঐক্যমত পোষণ করে ওয়াশিংটন এবং এর ন্যাটো মিত্ররা। তবে মস্কোও ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে একই ধরনের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে।
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পারমাণবিক চুক্তি রয়েছে; যার মেয়াদ বাইডেনের শপথ নেয়ার ১৬ দিন পর আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে উভয় পক্ষ এই চুক্তির সময়সীমা বাড়াতে রাজি হয়েছে; কিন্তু সেটি কতদিনের জন্য বৃদ্ধি করা হতে পারে সে ব্যাপারে এখনও কোনও আভাষ পাওয়া যায়নি।
গুজবের আরেক বিপজ্জনক বিশ্ব
রয়্যাল ইউনাটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের এমিলি ফেরিসের মতে, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার আইএনএফ এবং ওপেন স্কাই চুক্তির অবসান আরেকটি বিপজ্জনক সামরিক বিশ্ব তৈরি করবে। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি এবং প্রতিরক্ষা কৌশলে দেশটি যে সামরিক সংঘাত চায় না সেটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
বহির্বিশ্বে নিজেদের প্রভাবের বিস্তার ঘটাতে মিথ্যা তথ্যের প্রচারণা এবং সাইবার হামলা রাশিয়ার আরেক শক্তি; যা বৃহত্তর হুমকি তৈরি করতে পারে। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হওয়ার পর দুই দেশের মাঝে ব্যাপক টানাপোড়েন তৈরি হয়; যা মার্কিন রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, টেক্সাসভিত্তিক কোম্পানি সোলারউইন্ডের ব্যবহৃত আইটি প্ল্যাটফর্ম হালনাগাদ করার সময় বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এই সময় সোলারউইন্ডের প্রায় ১৮ হাজার গ্রাহকের কম্পিউটারে অযাচিতভাবে ম্যালওয়ার ডাউনলোড হয়। এর ফলে সোলারউইন্ডের নিয়ন্ত্রণ হ্যাকারদের হাতে চলে যায়। এর পেছনেও রাশিয়ার হ্যাকাররা জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
তথ্য চুরির যুদ্ধ রাশিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। সোভিয়েত আমল থেকেই দেশটির সরকারি সহায়তায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠী এই কাজ করে আসছে।
অন্ধ জনসংযোগ এবং মিথ্যা তথ্যের বিস্তার ঘটানোর রুশ ধারণা সত্য তথ্যকে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়। রাশিয়ানরা এই ক্ষেত্রে বেশ দক্ষ বলে মনে করেন ফেরিস।
মিথ্যা এবং সন্দেহপ্রবণ তথ্যের বিস্তার ট্রাম্পের পুরো শাসনামলে ব্যাপক বিপজ্জনক হিসেবে হাজির হয়। এর আগে, করোনাভাইরাস অন্যান্য ফ্লু ভাইরাসের চেয়ে বিপজ্জনক কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটিতে বর্তমানে যে স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে; তাতে ট্রাম্পের অবৈজ্ঞানিক এমন মন্তব্য অবদান রেখেছে; যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চুরি হয়ে গেছে বলে ট্রাম্পের ভিত্তিহীন মন্তব্যের জেরে তার উগ্রপন্থী হাজার হাজার সমর্থক দেশটির পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে সহিংস হামলা চালায়।
নেতাহীন বিশ্ব
ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় আমেরিকার শত্রুরা দেশটির দমনমূলক এবং নৈতিকতাবাদী আচরণকে ভণ্ডামি বলে অভিহিত করছেন।
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার পর চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু জিজিন এক টুইট বার্তায় বলেন, এরপরও কীভাবে চীনা জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের উপাসনা অব্যাহত রাখবে?
এই অঞ্চলে চীনের আগ্রাসন কিংবা উত্থান থামাতে খুব বেশি কিছু করতে পারেনি ট্রাম্প প্রশাসন; এর বদলে আমেরিকানরা তাদের দেশে চীনের আধিপত্যকে হুমকি হিসেবে দেখেন।
হিমালয় অঞ্চলের সর্বাধিক বিতর্কিত সীমান্তে ভারতের সঙ্গে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তাক্ত এক সংঘাতে জড়িয়েছে চীন। এছাড়া প্রতিনিয়ত তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে বারবার হুমকি দিয়েছে। পূর্ব চীন সাগরে জাপান নিয়ন্ত্রিত দ্বীপেও বিতর্কে জড়িয়েছে বেইজিং, জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারির মাধ্যমে হংকংয়ের বাসিন্দাদের নাগরিক অধিকার বঞ্চিত করেছে।
নিষেধাজ্ঞা এবং কঠোর বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তৃতা ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে চীনের বিরুদ্ধে তেমন কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারেনি। জিনজিয়াংয়ের তথাকথিত সংশোধনাগারে লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে আটকে রেখে নিপীড়ন চালিয়ে আসছে চীন। এসবের পরও ট্রাম্প তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ করলেন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে রেখে।
তবে ট্রাম্পের পথে না হেঁটে বরং যুক্তরাষ্ট্রকে বৈশ্বিক মোড়লের আসনে নেয়ার আশা গত মাসে এক ভাষণে ব্যাক্ত করেছেন জো বাইডেন।
আমাদেরকে ছাড়া আমাদের চারপাশে কাজ শুরু করার উপায় খুঁজতে থাকা এক বিশ্বের ‘আস্থা এবং বিশ্বাস’ পুনরায় অর্জন করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
জো বাইডেন
বাইডেন অথবা বেইজিং যদি সম্পর্কের পুনর্যাত্রা শুরু করতে চায় তাহলে সেখানে বিশাল সুযোগ তৈরি হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে হয়তো বেইজিং কিছু শর্ত বেধে দিতে পারে। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি পলিসির শ্যারন কোয়াসোনি বলেন, বাইডেনের জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথটি কূটনৈতিক। রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করার পরিবর্তে তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য বাইডেনকে তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞদের ব্যবহার করতে হবে।
বুশ সিনিয়র, ক্লিনটন এবং ওবামা প্রশাসনে কাজ করা শ্যারন বলছেন, আমরা পররাষ্ট্র নীতির কয়েক দশকের এবং অত্যন্ত গভীর, গভীর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাইডেনকে পেয়েছি। যিনি এসব ইস্যু নিয়ে কাজ করতে পুরো জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এখন রাশিয়া এবং চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। সব দেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক একটি প্রকৃত পার্থক্য তৈরি করতে পারে।
এসএস