ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আত্মঘাতী জোড়া বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এদিকে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বাগদাদে বিরল এই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে।

২০১৭ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের পরাজয়ের পর রাজধানী বাগদাদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা একেবারে নজিরবিহীন। বাগদাদে সর্বশেষ আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে।

গত তিন বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় আত্মঘাতী হামলা। শিয়া মুসলিমদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইরাকের সামরিক বাহিনী বলছে, বাগদাদের কেন্দ্রের তায়ারান স্কয়ারের একটি জনাকীর্ণ মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়ে ঢুকে দুই হামলাকারী বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেন। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

হামলার পর প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ২৩ জন বলা হলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ জনে।

মার্কেটের ছাদ থেকে ধারণ করা হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, প্রথম বিস্ফোরণের পর ওই এলাকায় লোকজন জড়ো হলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর সেখানে অনেক মানুষ আহত এবং মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তবে এসব ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

২০১৭ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনী নেতৃত্বাধীন জোটের সহায়তায় ইরাকের সেনাবাহিনী জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখণ্ড উদ্ধারের পর দেশটিতে এ ধরনের আত্মঘাতী বোমা হামলা দীর্ঘদিন দেখা যায়নি।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে রাজধানীর তায়ারান স্কয়ারে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হন।

ঘাঁপটি মেরে থাকা জঙ্গিরা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকায় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর ছোটখাট হামলা প্রায়ই চালাচ্ছে।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ফের ইরাকি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে, এমনটি মনে করেন না দেশটির সরকারি এবং সামরিক কর্মকর্তারা।

তবে এই গোষ্ঠীর অব্যাহত হামলায় ইরাকের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

সূত্র: বিবিসি

টিএম