নিজেদের জলসীমা দিয়ে বেইআনিভাবে জ্বালানি পরিবহনের অভিযোগে রোববার ইরানের পতাকাবাহী এমটি হর্স এবং পানামার পতাকাবাহী এমটি ফ্রেয়া নামের দুটি ট্যাঙ্কার আটক করেছে ইন্দোনেশিয়ার কোস্টগার্ড।  

কোস্টগার্ডের মুখপাত্র উইসনু প্রামন্ডিতা বলেছেন, কালিমান্তান প্রদেশের জলসীমায় ট্যাঙ্কার দুটি আটক করা হয়। এরপর আরও তল্লাশি ও তদন্তের জন্য সেগুলোকে রিয়াউ প্রদেশের বাতাম দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

তার বিবৃতি অনুযায়ী, ‘নিজ নিজ দেশের পতাকা উত্তোলন করে না রাখা, স্বয়ংক্রিয় চিহ্নিতকরণ পদ্ধতি বন্ধ রাখা ও রেডিও কলে সাড়া না দেওয়ায় ওইদিন স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ট্যাঙ্কার দুটি আটক করা হয়।’

আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী নৌ পরিবহনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার জন্য যেকোনো নৌযানে রেডিও সিগন্যাল গ্রহণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র ‘ট্রান্সপন্ডার’ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

অবশ্য জলদস্যুতা বা অনুরূপ ঝুঁকির মুখে পড়লে ক্রু সদস্যরা এসব ডিভাইস বন্ধ করতে পারে। তবে অবৈধ তৎপরতা চালানোর সময় জাহাজের অবস্থান গোপনের উদ্দেশ্যে প্রায়শই ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইরান ও পানামার ট্যাঙ্কার জব্দ করার পর উভয় ট্যাঙ্কারের ৬১ জন ক্রু সদস্যকে আটক করার কথাও জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার কোস্টগার্ডের মুখপাত্র উইসনু প্রামন্ডিতা। 

বলা হচ্ছে, ‘ওইদিন ভোরে যখন ট্যাঙ্কার দুটি আটক করা হয় তখন এমটি ফ্রেয়ার চারপাশে তেল ছড়িয়ে ছিল।’ তবে ইন্দোনেশিয়া এমন অভিযোগ তুলে ট্যাঙ্কার আটক করলে এ নিয়ে ইরান এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

রয়টার্স লিখেছে, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তারা তাদের বিক্রয় করা তেলের গন্তব্য গোপন করতে ট্যাঙ্কারের ডিভাইসগুলো বন্ধ করে রাখে। এতে কি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল রপ্তানি হচ্ছে তা জানা যায় না।

যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা দেশ ও জোটের নিষেধাজ্ঞার করাণে আইনি উপায়ে ইরানের তেল বিক্রিতে অবরোধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তেহরান এমন পদ্ধতি অবলম্বন করেই নিজেদের ভঙ্গুর অর্থনীতি সচল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।  

গত বছর এমটি হর্স জাহাজটিকে ২১ লাখ ব্যারেল তেলসহ ভেনেজুয়েলায় পাঠিয়েছিল ইরান।

এএস