অনলাইনে পণ্য বিক্রির বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। চলতি বছরের শেষের দিকে এই পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়াবেন বলে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে কোম্পানিটি। বেজোসের পদত্যাগের পর সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেবেন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের বর্তমান প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জেসি।

১৯৯৫ সালে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন জেফ বেজোস। অনলাইনে বই বিক্রির একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গত ২৫ বছরে অ্যামাজনকে তিনি এক লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। এর মাধ্যমে বিশ্বে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন হয়েছেন বেজোস।

বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ২০২০ সালেও টানা তৃতীয়বারের মতো প্রথম স্থান অধিকার করেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজোস। আর দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

বেজোসের পদত্যাগের পর দায়িত্ব নিতে যাওয়া অ্যান্ডি জেসি ১৯৯৭ সাল থেকে অ্যামাজনে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই ওয়েব সার্ভিসের মাধ্যেমেই সবচেয়ে বেশি মুনাফা আয় করে থাকে অ্যামাজন।

দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন বেজোস। সেখানে তিনি বলেন, ‘প্রায় ২৭ বছর আগে কাজ শুরু করেছিলাম। অ্যামাজন ছিল কেবলই একটি ধারণা এবং এটার কোনো নাম ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘সেসময় আমি নিজেকে কেবল একটি প্রশ্নই জিজ্ঞাসা করতাম। আর তা হলো- ‘‘ইন্টারনেট আসলে কী?’’ আর আজ পর্যন্ত আমরা বিশ্বব্যাপী ১৩ লাখ মেধাবী ও উদ্যমী কর্মীকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করেছি। এসব কর্মীদের সবাই বিশ্বব্যাপী শত শত কোটি গ্রাহককে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে অ্যামাজনকে বিশ্বের সবচেয়ে সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবেও এখন মনে করা হয়।’

বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারির মধ্যেও অ্যামাজন বেশ দুর্বার গতিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। গত বছর ছুটি ও লকডাউনের মধ্যেও প্রচুর মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে ঘরবন্দী মানুষকে সেবা দিয়ে গড়েছে নতুন রেকর্ড।

সূত্র: সিএনএন

টিএম