উহানের ভাইরাস গবেষণা কেন্দ্রে ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি দল
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে অনুসন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একদল বিজ্ঞানী এখন চীনে। বুধবার তারা ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল উহানের একটি ভাইরাস গবেষণাগার পরিদর্শন করছেন। প্রথম দিকে এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়েছিল যে, উহানের এই গবেষণাগার থেকেই করোনার উৎপত্তি। খবর ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।
উহান সফররত তদন্ত দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাইরাস বিশেষজ্ঞ পিটার বেন এমব্রেক। বুধবার সকাল দশটার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তারা উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজিতে প্রবেশ করেন।
বিজ্ঞাপন
ডব্লিউএইচও দলের প্রতিনিধি এবং ইকো-হেলথ অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট পিটার ডাসজাক সেখানে পৌঁছে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুবই কর্মময় একটি দিন অতিবাহিত করার প্রত্যাশা করছি। এখানকার প্রধান প্রধান ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক হবে। প্রয়োজনীয় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা হবে তাদের।’
উহানের এই গবেষণাগার নিয়ে অনেকগুলো ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ এক সময় ছড়িয়ে পড়েছিল। আর এই তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়া শুরু করেছিল তৎকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর হাত ধরে।
বিজ্ঞাপন
তখন দাবি করা হয়েছিল, উহানের গবেষণাগারের ত্রুটি থেকে ২০১৯ সালের শেষদিকে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে; যা পরে বৈশ্বিক করোনা মহামারির রূপ নিয়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
তবে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে এমন পূর্বানুমান অবশ্য বেশিরভাগ বিজ্ঞানী মানতে নারাজ। কিন্তু কেউ কেউ দাবি করেন, বন্যপ্রাণী থেকে সংগ্রহ করা একটি ভাইরাস নিয়ে উহানের ওই গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয় মানুষের মধ্যে কেমন প্রভাব তৈরি করতে পারে এটি। তারপর সেখান থেকে গবেষণাগারের এক কর্মীর দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে। পড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন দাবি বেশি করে উঠতে শুরু করে ।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কিছু বিজ্ঞানী ওই গবেষণাগারে পরীক্ষা হওয়া করোনাভাইরাসের সকল নমুনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানায়। শেষে এ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র পক্ষ থেকে তদন্ত করার ঘোষণা আসে।
গত ১৪ জানুয়ারি উহানে পৌঁছায় ওই প্রতিনিধি দল। উহানে পৌঁছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকেন তারা। গত ২৮ জানুয়ারি কোয়ারেন্টাইন শেষ হয় তাদের। এরপর থেকে মাঠ পর্যায়ে তারা কাজ শুরু করেন।
ইতোমধ্যে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হওয়া উহানের একটি সামুদ্রিক প্রাণীর বাজার পরিদর্শন করেছেন তারা। এছাড়া যে হাসপাতালে প্রথম করোনা রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছিল সেখানেও অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
এএস