আফগানিস্তানে তালেবান বিদ্রোহী ও সরকারপন্থী সশস্ত্র মিলিশিয়াদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন সরকারপন্থী মিলিশিয়া সদস্য এবং ১০ জন তালেবান যোদ্ধা। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশের খানাবাদ জেলায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা সিনহুয়া।

খানাবাদ জেলার ডেপুটি প্রধান কুদরতউল্লাহ সাফি জানান, ‘শুক্রবারের এই সংঘর্ষে সরকারপন্থী মিলিশিয়াদের কমান্ডার আব্দুল হাকিমসহ ১৬ যোদ্ধা ও ১০ জন তালেবান বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন তালেবান সদস্যও রয়েছে।’

এদিকে গ্রামবাসীদের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানায়, শুক্রবার সকালে শত শত তালেবান যোদ্ধা কুন্দুজ প্রদেশের খানাবাদ জেলার তেপা আখতার এলাকায় সরকারপন্থী মিলিশিয়াদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং তা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে।

কুন্দুজ প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ এ সংঘর্ষের খবর নিশ্চিত করে বলেন, তালেবানের হামলার পর সরকারি বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করায় সরকারপন্থী ১৬ মিলিশিয়া সদস্য নিহত হন।

অবশ্য সংঘর্ষের ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি তালেবান গোষ্ঠী।

সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে রক্তক্ষয়ী হামলার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এজন্য তালেবানকে দায়ী করে আসছে দেশটির প্রশাসন। সম্প্রতি দেশটির গোয়েন্দা প্রধানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠিটি ১৮ হাজারের বেশি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।

এসব হামলা বা হত্যার বেশিরভাগের দায় কোনো জঙ্গি সংগঠনই স্বীকার করেনি। তবে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরোধীপক্ষ সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানকে দায়ী করে থাকেন। অবশ্য তালেবান এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে এর আগে বার্তাসংস্থা এপির কাছে দাবি করেছিলেন গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।

সূত্র: সিনহুয়া

টিএম