রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তরুণীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

মামলার অপর আসামি নুহাত আলম তাফসিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম। শনিবার (৬ জানুয়ারি) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা (জিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সূত্র জানায়, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পাঁচ দিন করে রিমান্ড চলাকালীন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মর্তুজা রায়হানকে আদালতে হাজির করেন। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সত্যব্রত সিকদার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

অপরদিকে, শনিবার (৬ জানুয়ারি) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আসামি নুহাত আলম তাফসিরকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আতিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি এই দুই আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী (তরুণ) উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিলেন। তাদের চোখের সামনেই ধর্ষণ করা হয়।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খান কোকোকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৩১ জানুয়ারি তরুণী মারা যান।

টিএইচ/এইচকে