সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘দেশের সকল মানুষ চাচ্ছে দ্রুত এ মামলার বিচার শেষ হোক। নিশ্চিত হোক ন্যায় বিচার। কিন্তু আপনারা মামলার আদালত পরিবর্তনের আবেদন দিয়েছেন, এতে তো মামলার বিচার বিলম্বিত হবে।’

রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

পরে আদালত পরিবর্তনে বাদীর আবেদন গ্রহণ না করে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেওয়া মামলার বিচার একত্রে করার আদেশ দেন হাইকোর্ট। ফলে বর্তমানে যে ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচার চলছে সেখানেই এ মামলার বিচার হবে।

আদালত একই সঙ্গে মামলার বাদী, বাদীর আইনজীবী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সিলেট পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন।

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি আলোচিত সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের মামলার বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন বলেন, বাদী ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫২৬ ধারায় আদালত পরিবর্তনের আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়, সিলেটের অন্য কোনো ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য মামলাটি যেন বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। ওই রাতেই ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহ-পরান থানায় মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরেকটি মামলা করা হয়।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সাইফুরসহ ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী অভিযোগপত্র আমলে নেন।  

এমএইচডি/এমএআর/