অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা ইলেকট্রিক পেমেন্ট ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বেতন পাবেন। সেজন্য শিক্ষকদের আইবাস প্লাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য এন্ট্রি করা হচ্ছে। 

এ তথ্য এন্ট্রি করতে গিয়ে শিক্ষক নেতা ও উপজেলা কর্মকর্তারা নানাভাবে ঘুষ চাচ্ছেন। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরে আসার পর কড়া নির্দেশনা দিয়েছে দপ্তরটি। এ কাজের জন্য কেউ ঘুষ চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (ডিপিই) অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। সেজন্য ডিপিইতে চারটি হটলাইট খোলা হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ জানাতে চারজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োজিত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের জানাতে বলা হয়েছে।

অধিদপ্তরের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ও তাদের ফোন নম্বরগুলো হলো- সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম ফোন : ০১৭৪২৪৮০২০১, শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার সরকার ফোন :০৭১১৪৬১০৪৯, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় সরকার ফোন : ০১৭১২৭৫৯৬১৫ এবং প্রক্রিউরমেন্ট অফিসার আ ফ ম জাহিদ ইকবাল ফোন : ০১৫৫২৪৩৯১২৮।

এ প্রসঙ্গে ফোকাল পয়েন্ট ও শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা আইবাস প্লাস সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি দিতে গিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্থানীয় শিক্ষক নেতাদের সহায়তা নেন। এ সুযোগে অনেকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ আসার পর ডিপিই থেকে আমাদের অ্যাসাইনড করা হয়েছে। যেকোনো শিক্ষক এ হটলাইনে ফোন করে অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা সংশ্লিষ্ট শাখা ও জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলবো।  

৪ ফেব্রুয়ারি ডিপিই অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে বিতরণ করার কাজ চলমান রয়েছে। ইএফটিতে তথ্য এন্ট্রি করতে গিয়ে কোনো কোনো থানা বা উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং স্থানীয় শিক্ষক নেতারা অনৈতিকভাবে অর্থ লেনদেন করছেন। 

এতে শিক্ষকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ডিপিইর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়ারে তথ্য এন্ট্রির কাজে লেনদেনের অভিযোগ এলে তা ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের জানাতে শিক্ষকদের অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে।

এনএম/এনএফ