পি কে হালদারের সহযোগী অনিন্দিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ
লাল রংয়ের ওড়না পরিহিত অনিন্দিতা মৃধা
আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সহযোগী ও আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়রি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুপুর দেড়টা থেকে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এর আগে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে দুদকে আনা হয়।
বিজ্ঞাপন
দুদক পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য ঢাকাপোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সাড়ে ২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারে সম্পৃক্ততায় দায়ের করা মামলায় সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতাকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে সুকুমারের স্ত্রী তাপসী রানী শিকদারকেও। সোমবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই একই মামলার আসামি অসীম কুমার মিস্ত্রি। মূলত এসব বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতেই এ জিজ্ঞাসাবাদ।
বিজ্ঞাপন
গত ২১ জানুয়ারি সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর সোয়া ১টায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন গ্রেপ্তার করেন। পরে সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
তাদের বিষয়ে দুদক সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘পি কে হালদার বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর তার অবৈধ সম্পদ দেখাশোনা করতেন সুকুমার মৃধা ও অনিন্দতা মৃধা। তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান সুকুমার মৃধার তত্ত্বাবধান করেন। পি কে হালদার ভুয়া ঋণ দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ১০০ কোটি টাকা তার মা লিলাবতী হালদারের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখেন। পরে লিলাবতী হালদারের ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুমার মৃধা, অবন্তীকা বড়াল ও অনিন্দিতা মৃধা পি কে হালদারের কাছে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং করেছেন মর্মে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য পেয়েছেন।’
যদিও সুকুমার মৃধা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, ‘পত্রপত্রিকায় যা লেখালেখি হচ্ছে সেই বিষয়ে পি কে হালদারের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। তিনি কেবল আমার ক্লায়েন্ট।’
অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদার ওই প্রতিষ্ঠানসহ পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় তার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের পরপরই প্রশান্ত কুমার হালদারের নাম উঠে আসে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর হাজির হতে নোটিশ দিয়েছিল সংস্থাটি। গত ৮ জানুয়ারি দুদকের অনুরোধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা দিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।
আরএম/জেডএস