‘ইসির কার্যক্রম পরিচালনায় অনেকটা গণমাধ্যমের উপর নির্ভর করি’
ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা অনেকটা গণমাধ্যমের উপর নির্ভর করি। শুধু আমরা নই, দেশ, জাতি, জনগণ সবাই সংবাদ প্রচারকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও আরএফইডির সভাপতি সোমা ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী জেবেলসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের বড় ধরনের তথ্য পেতে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। দেশের যেকোনো নির্বাচনে গণমাধ্যম একটি বড় স্টেকহোল্ডার। গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনগুলোর সর্বশেষ তথ্য পেতে অধিকাংশ সময়ই পূর্ণ কমিশন গণমাধ্যমের দিকে তাকিয়ে থাকি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে নির্বাচনের ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেই।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রত্যেকটা সংবাদে একটা ম্যাচুউরিটি আছে। সংবাদে ম্যাচুউরিটি না থাকলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হলে জনগণের কাছে সেটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সাংবাদিকদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা সঠিক খবর প্রকাশ করবেন। তা না হলে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে।’
বিজ্ঞাপন
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘সবকিছুতেই মিডিয়া একটা বড় ভূমিকা রাখে। যেকোনো পজেটিভ নিউজ যেমন জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে, তেমনি নেগেটিভ নিউজে মাঝে মাঝে অনেক কিছু ধসে যায়। এজন্য আমরা যে যেই পেশায় থাকি না কেন, সবসময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করবো। আমার প্রত্যাশা থাকবে ইসি বিটের সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সবসময় সচেষ্ট থাকবে।’
এসআর/এসএসএইচ/এনএফ