করোনা মহামারির কারণে ছয় মাস বাংলাদেশি কর্মীরা বিদেশ যেতে না পারলেও বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজারের বেশি কর্মী বিদেশ যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি)’র পরিচালক মোহাম্মদ শামছুল আলম।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিএমইটি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের উদ্যোগে ‘সেইফ মাইগ্রেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল রিএনটিগ্রেশন ইন দ্যা কনটেক্সট অব কোভিড-১৯ ক্রাইসিস’ শীর্ষক এক সভায় এই তথ্য জানান তিনি।

বিএমইটির পরিচালক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার কর্মী বিদেশে যেতেন। তবে মাঝে ছয়মাস তা একেবারে বন্ধ ছিল। বর্তমানে গড়ে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ কর্মী যাচ্ছেন।’

চলতি বছরের কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য পূরণ না হলেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করেন বিএমইটির পরিচালক।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ২০১৯ সালে সাত লাখ এক হাজার জনের বিদেশে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত পাঠানো গিয়েছিল সাত লাখ ১৫৯ জনকে। ২০২০ সালে বিদেশে কর্মসংস্থানের টার্গেট ছিল সাড়ে সাত লাখ। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ২ লাখ ৭০ হাজার জনের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত চার লাখ ছয় হাজার ৯৬২ জন বাংলাদেশি কাজ নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। সে হিসেবে এবার বিদেশে কর্মসংস্থান ৭০ শতাংশ কমেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, মহামারীর কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন।

মন্ত্রীর ভাষ্য, এখন পর্যন্ত ফেরত আসা কর্মীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেনি।

সৌদি আরব থেকে দেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসীদের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ইতোমধ্যে ফিরে গেছেন বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়া কয়েক হাজার প্রবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ফিরে গেছেন বলে জানান ইমরান আহমদ।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

এনআই/টিএম