কেরানীগঞ্জে ধসে পড়া ভবনটির অনুমোদন ছিল না
ঢাকা অদূরে কেরানীগঞ্জের পূর্বাচল খেলার মাঠের পাশের ধসে পড়া তিনতলা ভবনের কোনো অনুমোদন ছিল না। ছিল না কোনো পাইলিং। অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে আশপাশের বেশ কয়েকটি বিল্ডিং। তাই ধসে পড়া ভবনের আশপাশে পাঁচটি বাড়ি সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের পূর্বাচল খেলার মাঠের পাশে তিনতলা ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, তিনতলা ভবনটির দোতলা ঢালাই ছাদ। তৃতীয় তলা ছিল টিনের। পুরো ভবনে থাকতেন ৬ জন লোক। ভবনটি করতে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে বাড়িটি।
বিজ্ঞাপন
এদিন ধসে পড়া ভবনের পরিদর্শন করে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শানজিদা পারভীন তিন্নী আশপাশের ৫টি বাড়ি সিলগালা করে দেন। সিলগালা ভবনের প্রত্যেকটি বাসার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সিলগালা করা ভবনগুলোর সবগুলি ঝুঁকিপূর্ণ। অনুমোদন ও পাইলিং ছাড়াই করা হয়েছে এসব বাড়ি।
সিলগালা করা ভবনগুলো হলো- মুনসুর আলীর একতলা বাড়ি, শামসুল হক লিটনের ছয়তলা বাড়ি, হাজী মনির হোসেনের দোতলা বাড়ি, হাজি মজিবুর রহমানের দোতলা বাড়ি ও একটি টিনের বাড়ি।
ধসে পড়া বাড়ির মালিক জানে আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়িতে আমি, আমার স্ত্রী, আমার মা, আমার ছেলে, ছেলের বউ ও একজন কাজের লোক ছিলেন। সকাল পৌনে ৮ টার দিকে হঠাৎ ভবনটি ধসে যায়। মা কিছুটা অসুস্থ হলে পরে কেরানীগঞ্জ সাজেদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, বাড়িটি ২০০০ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বাড়িটি যখন নির্মাণ করা হয়েছিল পাশে একটা নিচু জমি ছিল। তবে গত কয়েকবছর এই নিচু জমির পানি আসা-যাওয়া না-করতে পারায় ভবনের পাশে পানি জমে থাকত।
টিএইচ/এইচকে