রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় মুসল্লিদের বিক্ষোভের সময় মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশের ওপর হামলা ও ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১২ জুন) মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোস্তা‌ফিজুর (৪৭), উমর ফারুক (৪১), আশিক (৩০), মুন্না (১৯), অন্তর (২০), আব্দুল খা‌লেক (২২), মিজান (২১), শাওন (১৯), নুর নবী (২২), শা‌হিন (২২), মাসুদ (২৩) ও আবুল কালাম (২৯)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ঢাকা উদ্যানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন মুসল্লিরা। এ সময় মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ও এএসআই জাহাঙ্গীরসহ পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তার কাছে থাকা ওয়াকিটকি নিয়ে যায় হামলাকারীরা। 

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মোহাম্মদপুর থানার ওসি ও এএসআই জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে আগারগাঁও নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ওসি আবুল কালাম আজাদকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার এএসআই পান্নু মোল্লা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা (মামলা নং-৬৪) দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ দেখে দুইজন এজাহারনামীয় আসামিসহ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিউল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এজহারনামীয় মামলার দুই আসামি মোস্তা‌ফিজুর (৪৭) ও উমর ফারুককে (৪১) এক দিন করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

উল্লেখ্য, ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেত্রী নুপুর শর্মা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করেছেন- এমন অভিযোগে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ঢাকা উদ্যান কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভরত মুসুল্লিরা কোন উস্কানি ছাড়াই মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়।

এসএএ/আইএসএইচ