ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের আমেরিকায় বসে ফের অফিস করার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত ঢাকা ওয়াসা বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

বোর্ড সভায় বলা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসার এমডির ব্যক্তিগত কারণে ছুটির প্রয়োজন হলে তিনি ছুটি নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) দায়িত্ব দিয়ে যেতে হবে।

জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব অন্য কাউকে না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসে নিজেই ভার্চুয়ালি সেই দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছিলেন সংস্থাটির বর্তমান এমডি তাকসিম এ খান। কিন্তু সংস্থাটির বোর্ড সদস্যদের তীব্র বিরোধিতার মুখে তার এই আবদার পূরণ হলো না। বোর্ড সদস্যরা একমত হয়ে তাকসিম এ খানের আমেরিকায় বসে ভার্চুয়াল অফিসের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। ফলে আমেরিকায় বসে ভার্চুয়ালি অফিস করা হচ্ছে না ওয়াসার এমডির।

আরও দেখুন >> ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেননি আদালত

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসার বোর্ড সভা শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ঢাকা ওয়াসার এমডি সভায় ২০ ভাগ পানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাব ঢাকা ওয়াসা উপস্থিত সকল সদস্য নাকচ করেন।

পরে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যান ৫ ভাগ মূল্য সমন্বয়ের প্রয়োজনে বাড়ানোর পক্ষে সম্মতি দিলে বোর্ড সদস্যরা তা মেনে নেন। তবে এমডির ভার্চুয়াল অফিসের প্রসঙ্গ উঠলে বোর্ড সদস্যরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। যদিও কয়েকজন সদস্য প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ের পাঠানোর পক্ষে মতামত দেন। এ প্রস্তাবের পক্ষে বোর্ডের বেশিরভাগ সদস্য ভিন্ন মত প্রকাশ করেন। এই বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রায় এক ঘণ্টা ধরে নানা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তবুও এমডির আমেরিকায় বসে ফের অফিস করার প্রস্তাব নাকচ করেছে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস ভার্চুয়াল অফিসের অনুমতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান ঢাকা ওয়াসার এমডি। তিন মাসের অনুমতি নেওয়া থাকলেও সেখানে থেকে চার মাস ভার্চুয়াল অফিস করেন তিনি। ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে বর্তমান দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

এএসএস/ওএফ