ফের পাঁচে নামল করোনায় মৃত্যু
স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ৩৭৯ জনে।
গত বছরের ৬ মে করোনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। এরপর চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ভাইরাসটি কেড়ে নেয় পাঁচ জনের প্রাণ। ৬ মে থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি মাঝের ২৮২ দিনে করোনায় এর চেয়ে কম মৃত্যু হয়নি। তবে ১২ ফেব্রুয়ারির পর ২০ ফেব্রুয়ারি ফের করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। ঠিক চার দিন পর আজ আবারও ২৪ ঘণ্টায় করোনায় পাঁচ জনের প্রাণহানি ঘটে।
বিজ্ঞাপন
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪২৮ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৪ জনে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন ৯১১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৮ জন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার দুই দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচ জনের মধ্যে পুরুষ চার এবং অন্য জন নারী। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মোট মারা যাওয়া আট হাজার ৩৭৪ জনের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৩৩৯ জন বাকি দুই হাজার ৪০ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৬০ বছরের বেশি চার জন, অন্যজনের বয় ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর দেশে ভাইরাসটিতে প্রথম মৃত্যু হয়। প্রথম মৃত্যুর তিন দিন পর করোনায় দ্বিতীয় মৃত্যু হয় ২১ মার্চ। এরপর ২৩, ২৪ ও ২৫ মার্চ টানা তিন দিনে তিন জনের মৃত্যু হলেও মার্চ মাসে ভাইরাসটিতে আর কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
১ এপ্রিল মৃত্যু হয় আরেকজনের। মৃত্যুশূন্য থাকে ২ ও ৩ এপ্রিল। ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দেশে দুজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে আর এমন কোনো দিন যায়নি, যেদিন করোনায় দেশে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ জনের নিচে থাকলেও, ১৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো করোনায় দুই সংখ্যার মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। ১৭ এপ্রিল ছাড়িয়ে যায় মানুষের কল্পনাকেও, ওইদিন দেশে করোনায় ১৫ জনের প্রাণহানি হয়।
এরপর ১০ মে ১৪ জনের মৃত্যুর পর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত, মাঝের সময়ে করোনায় সিঙ্গেল ডিজিটের কোনো মৃত্যু হয়নি। ভাইরাসটিতে প্রথম ২০-এর অধিক মৃত্যু হয় ১৮ মে, সেদিন দেশে ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে। ৩১ মে প্রথমবারের মতো দেশে ৪০ জনের মৃত্যু হয় এ ভাইরাসে। ৫০ ছাড়ায় ১৬ মে, সেদিন মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। ৩০ জুন দেশের মানুষ করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে, সেদিন এ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নেয় ৬৪ জনের।
মূলত ২৯ মে থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু একদিনের জন্যও ২০ জনের নিচে নামেনি। প্রায় চার মাস ১০ দিন পর ৯ অক্টোবর করোনায় মৃত্যু ২০-এর নিচে নেমে আসে, সেদিন দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
এফআর